Nov 7, 2010

BIOS Password ভুলে গেলে আপনার করণীয়

বায়োস পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে অনাক্ষাংখীত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারি। বায়োসে দুই ধরনের পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এক ধরনের পাসওয়ার্ড হল পাওয়ার অন করার পর পাসওয়ার্ড চাইবে, সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে ব্যার্থ হলে কম্পিউটার চালু হবে না। এবং অন্য ধরনের পাসওয়ার্ড হল কম্পিউটার অন হবে কিন্তু বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারী বায়োস পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাই কম্পিউটার অন করতে পারছেন না। অথবা কারো কাছ থেকে ব্যবহৃত কম্পিউটার কিনেছেন বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড চাইছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করার প্রয়োজন হয়। নিচের তিন পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১. বায়োস ব্যাটারী খুলে:

মাদারবোর্ডে একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন একটা চ্যাপ্টা ব্যাটারী লাগানো আছে। এই ধরনের ব্যাটারী হাতঘড়িতে ও ব্যবহার করা হয়। সাবধানে ব্যাটারীটি খুলে ফেলুন(অবশ্যই কম্পিউটার বন্ধ অবস্থায়)। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ব্যাটারীটি লাগিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাওয়ার কথা। তবে কিছু মাদারবোর্ডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় পাওয়ার ব্যাকআপ রাখার জন্য। এই ধরনের মাদারবোর্ডে ১০/১৫ মিনিটে কাজ হবে না। অন্তত ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যাটারীটি খুলে রাখুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। কিছু কিছু মাদারবোর্ডে ব্যাটারীটি সোল্ডার করা থাকে। এক্ষেত্রে সোল্ডারিংয়ের অভীজ্ঞতা না থাকলে অভীজ্ঞ কাউকে দিয়ে ব্যাটারীটি খুলিয়ে নিন। শেষ কথা হল, আধুনিক কিছু কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ করে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ব্যাটারী খুলে কাজ হয় না। এই ধরনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন।

২. জাম্পার অথবা DIP সুইচ এর মাধ্যমে:

অনেক মাদারবোর্ডে জাম্পার অথবা ডিপ সুইচের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করার ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে জাম্পার বা ডিপ সুইচের পাশে লেখা থাকে কোন ধরনের সেটিংস দিতে হবে। মাদারবোর্ডে লেখা না থাকলে মাদারবোর্ডের সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়ে অথবা মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে ও জেনে নিতে পারেন।

৩. গোপন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে:

অনেক বায়োস প্রস্তুতকারী কোম্পানী তাদের বায়োসে কিছু গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে বাইপাস করে চলে যাওয়া যায়। নিচে এধরনের একটা তালিকা দেওয়া হল।

Award BIOS এর জন্য:

ALFAROME, BIOSTAR, KDD, ZAAADA, ALLy, CONCAT, Lkwpeter, ZBAAACA, aLLy, CONDO, LKWPETER, ZJAAADC, aLLY, Condo, PINT, 01322222, ALLY, d8on, pint, 589589, aPAf, djonet, SER, 589721, _award, HLT, SKY_FOX, 595595, AWARD_SW, J64, SYXZ, 598598, AWARD?SW, J256, syxz, AWARD SW, J262, shift + syxz, AWARD PW, j332, TTPTHA, AWKWARD, j322, awkward ইত্যাদি।

AMI BIOS এর জন্য:

AMI, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI_SW, LKWPETER, CONDO ইত্যাদি।

Phoenix BIOS এর জন্য:

phoenix, PHOENIX, CMOS, BIOS ইত্যাদি।

কিছু কমন পাসওয়ার্ড:

ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj ইত্যাদি।

অন্যান্য কোম্পানীর BIOS Password:

কোম্পানী = = পাসওয়ার্ড
VOBIS & IBM = = merlin
Dell = = Dell
Biostar = = Biostar
Compaq = = Compaq
Enox = = xo11nE
Epox = = central
Freetech = = Posterie
IWill = = iwill
Jetway = = spooml
Packard Bell = = bell9
QDI = = QDI
Siemens = = SKY_FOX
TMC = = BIGO
Toshiba = = Toshiba
Toshiba = = BIOS

বেশিরভাগ Toshiba Laptop এবং কিছু Desktop এ বুট হওয়ার সময় কিবোর্ডের বাম পাশের Shift কী চেপে ধরে রাখলে ও বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।

পিসি বুট হবার সময় খুব দ্রুত মাউসের বাটন দুটি চাপতে থাকলে IBM Aptiva BIOS এর পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।

কন্ট্রোল প্যানেলের নাম ও আইকন পরিবর্তন।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কিছু ফোল্ডারের নাম ও আইকন সাধারণ অবস্থায় নির্দিষ্ট থাকে। যেমন−কন্ট্রোল প্যানেল, রিসাইকেল বিন ইত্যাদি। তবে এসবও পরিবর্তন করা যায়। কন্ট্রোল প্যানেলের নাম পরিবর্তনের জন্য রেজিস্ট্রি এডিটর খুলে (Win+R চাপুন,regedit বা regedt32 লিখে এন্টার চাপুন) পর্যায়ক্রমে HKEY_CLASSES_ ROOTCLSID{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D} তে যান।{21EC2..0309D}-এর ডানের প্যানে ডিফল্ট স্ট্রিং ভ্যালুর নামের ওপর ডাবল ক্লিক করে ভ্যালুডেটা হিসেবে আপনার পছন্দের নামটি লিখুন। এটিকে নামবিহীন করার জন্য আগের নামটি মুছুন। এরপর Alt+0160 চাপুন, এবার OK করুন। এবার বাঁয়ে{21EC2...0309D } কি-তে দুই ক্লিক করে সাব-কি DefaultIcon-এ ক্লিক করুন। ডানের প্যানেলে ডিফল্ট ভ্যালুর নামের ওপর দুই ক্লিক করে ভ্যালুডেটা হিসেবে আপনার পছন্দের আইকনসহ কোনো চালক (*.exe) ফাইলের অবস্থান লিখুন (যেমন−E:SAIF mplayerc.ex)। আইকনের জন্য *.dll ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য লিখতে হবে%systemroot%system32etplwiz.dll। এ ছাড়া নিজের বানানো আইকন ব্যবহার করা যায়। আইকনবিহীন করতে চাইলে খালি আইকন তৈরি কর যায়।

এজিপি

এজিপি শব্দটি এসেছে ‘অ্যাকসেলারেটেড গ্রাফিক্স পোর্ট’ শব্দগুচ্ছ থেকে। বিশ্বখ্যাত ইন্টেল এই পোর্টেও নকশা করে কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য। পিসিআই গ্রাফিক্স পোর্টগুলো ৩৩ মেগাহার্টজ গতিতে চলে এবং তথ্য স্থানান্তরের সর্বোচ্চ গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৩২ মেগাবাইট। অন্যদিকে এজিপি পোর্টের ক্ষেত্রে, ৬৬ মেগাহার্টজ গতিতে চলে এবং তথ্য স্থানান্তরের সর্বোচ্চ গতি প্রতি সেকেন্ডে ৫২৮ মেগাবাইট। যার কারণে এজিচির ফলে যেকোনো গেমের ত্রিমাত্রিক আবহ বেশি বাস্তবসম্মত হয় এবং অ্যানিমেশনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। এ ছাড়া এজিপি কার্ড ভিডিও মেমোরির পরিবর্তে সিস্টেম মেমোরিতে গ্রাফিক্স সংরক্ষণ করতে পারে, যা গেম খেলতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

জেনে নিন : ওয়েবক্যাম

ওয়েবক্যাম হলো একটি ছোট ক্রামেরা যার ইমেজ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং বা পিসি ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহৃত হয়। ভিডিও ক্যামেরার লো রেজুলেশনের ভার্সনকে ওয়েবক্যাম নামে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। ১৯৯১ সাল থেকে ওয়েবক্যামের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্টের ট্রুজান রুম কফি পট-এ ওয়েবক্যাম প্রথম ব্যবহৃত হয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে পর্ণোগ্রাফি সাইডগুলোতে লাইভ ইমেজ আদান-প্রদান করার জন্য স্ট্রিমিং ওয়েবক্যাম এখন ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

হটমেইল থেকেই দেখা যাবে জিমেইল, ইয়াহু

এখন থেকে হটমেইলেই দেখা যাবে জিমেইল, ইয়াহু'র মেইল৷ তাই যারা হটমেইল ব্যবহারকারী, তারা চাইলে এই সেবা বিনা খরচায় নিতে পারবেন৷ এতে করে ব্যবহারকারীর সময়ও বাঁচবে

হটমেইল জানাচ্ছে, ইনবক্সে এই সেবা যোগ করা খুবই সহজ৷ শুধু অপশনে গিয়ে খানিকটা পরিবর্তন করতে হবে, যোগ করে অন্যান্য ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড৷ এরপর যখনই আপনি হটমেইলে প্রবেশ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ই-মেইল ঠিকানাও কার্যকর হবে৷ এবং চাইলে যেকোন ঠিকানা থেকেই ই-মেইল করা যাবে৷ উইন্ডোজ লাইভ হটমেল এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডিক ক্যারাডক এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, হটমেইলের অন্যান্য ফিচার অপরিবর্তিতই থাকছে৷
জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য হটমেইলের এই সেবা নতুন নয়৷ কেননা, গুগলের এই মেইল সেবা অনেক আগেই চালু করেছিল অন্যান্য ই-মেইল দেখার সুবিধা৷ কিন্তু দেরিতে হলেও এই পথে আসায় একেবারে ক্ষতি হচ্ছে না হটমেইলের৷ বাজার বিশেষজ্ঞদের মত, এর ফলে এই ই-মেইল ব্যবহারকারীরা একটু বেশিই উৎসাহিত হবেন৷ আর ই-মেইলের ব্যবহার বাড়লে, সঙ্গে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়ারও সুযোগ রয়েছে৷