স্বাস্থ্য

  
নিউমোনিয়ায় বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার শিশু মারা যায়
alt
জীবনঘাতী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার শিশু মারা যায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ বছরের কম। তবে সচেতন হলেই এই মরণঘাতী রোগ বহুলাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আগামীকাল শুক্রবার বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষ্যে বৃহষ্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
বক্তারা বলেন, শিশুদের জন্য নিউমোনিয়া একটি মারাত্মক জীবনবিনাসী রোগ। বিশ্বে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজন ও প্রতিদিন গড়ে চার হাজার শিশু মারা যায়। বাংলাদেশে এ হার প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৪০ জন এবং বছরে প্রায় ৫০ হাজার শিশু মারা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্ট শিশুবিশেষজ্ঞ ও সাংসদ এম এস আকবর বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশেই এ রোগের টিকা (ভ্যাকসিন) উত্পাদন করতে হবে। বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে এটি প্রতিরোধ করা যাবে না।
সাংসদ আরও জানান, ২০১১ সালের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে নিউমোনিয়া প্রতিরোধে নিমোকককাস নামের একটি নতুন টিকা অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে।
জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান বলেন, আমাদের হাতে সচেতনতা নামক শিশু মুত্যু কমিয়ে আনার হাতিয়ার আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের পরিচালক এ বি এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ার পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। তিনি নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্শও দেন।
বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নাজমুন নাহার, ড. এবিএম জাহাঙ্গীর আলম, ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
কেন ধূমপান ছেড়ে দেবেন!
জেনে-শুনে নিশ্চয়ই আপনি বিষপান করবেন না। কিন্তু জানেন কি প্রতিনিয়ত ধূমপানের মাধ্যমে আপনি তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণ করছেন। শুনলে অবাক হবেন একটি সিগারেট চার হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা থেকে 25 টি জটিল রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিবছর বিশ্বে 5 মিলিয়ন লোক মৃত্যুবরণ করছে এই তামাক সেবনের ফলে। মনে করা হচ্ছে তামাক সেবনের হার এভাবে চলতে থাকলে 2018 সালের মধ্যে মৃত্যু এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হবে তামাক সেবন। আর ধূমপানের মাধ্যমে আপনি তো তামাক সেবনই করছেন।
তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন গ্রহণ করার ফলে প্রতিনিয়ত আপনি আপনার জীবনীশক্তি হারাচ্ছেন। ধূমপানের ফলে আপনার শরীরে দানা বাঁধছে নানা ধরনের রোগ। যে রোগগুলো আপনাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। শুধু আপনি যে নিজেরই ক্ষতি করছেন তা নয়, আপনার আশেপাশের অতি আপনজনেরও প্রায় সমপরিমাণ ক্ষতি করছেন। আর আপনার সন্তানের ক্ষতি করছেন দু’ভাবে-প্রথমত সে আপনাকে দেখে ধূমপান করা শিখছে, দ্বিতীয়ত আপনার ধোঁয়া তার শরীরেরও ক্ষতি করছে। গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপান শিশুদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
সিগারেটের প্রতিটি টানে আপনার আয়ু কমে যায়। যেটি আপনার শুধু ক্ষতিই করে, কোনরূপ উপকার করে না, তা কেন গ্রহণ করবেন? ‘ধূমপান মুক্ত পৃথিবী’ গড়ার। নিজে ধূমপান থেকে মুক্ত থাকুন, আপনার আপনজনকেও মুক্ত রাখুন।
গর্ভাবস্থায়ও শিশু মায়ের ভাষা বুঝতে পারে!
শিশুরাও মাতৃভাষা বোঝে। আর সেই বোঝার শুরুটা হয় মায়ের গর্ভে থাকার সময় থেকেই। বাবা-মা যে ভাষায়, যে উচ্চারণে কথা বলে, শিশুরা সে ভাষাতেই কাঁদে। সম্প্রতি একদল জার্মান গবেষক এমন দাবিই করেছেন। ফরাসি ও জার্মানভাষী পরিবারে জন্ম নেওয়া তিন থেকে পাঁচ দিন বয়সী ৬০টি শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এমন ফলাফল পান।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, মাতৃগর্ভে থাকার সময় শিশুরা তার মাতৃভাষাকে অনুসরণ করে। আর এ কারণেই ফরাসিভাষী পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুরা উচ্চ স্বরে কাঁদে। আর জার্মান শিশুরা কাঁদে নিচু স্বরে। সম্প্রতি কারেন্ট বায়োলজি নামের একটি সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রচলিত আছে, মাতৃগর্ভে থাকার শেষ তিন মাসে শিশুরা অনেক সংবেদনশীল আচরণ করে। এ সময় তারা গান ও মানুষের কণ্ঠ শুনে নিজের মধ্যে ধারণের চেষ্টা করে। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, ১২ সপ্তাহের শিশুরা বড়দের কথা থেকে স্বরধ্বনি দ্রুত রপ্ত করে নেয়।
নতুন এই গবেষণাটির দলপ্রধান ওয়ার্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাথলিন ওয়ার্কি জানান, এ গবেষণার নাটকীয় অর্জন হলো, শিশু গর্ভাবস্থায় যে ভাষাটা শোনে, পরবর্তীকালে সে ভাষাতেই কাঁদে, এটা বের করা। তিনি আরও বলেন, শিশুরা তার মায়ের দৃষ্টি কাড়তে মা যা যা করে, সেও তা শিখতে উদগ্রীব থাকে। আর এই পর্বটা শুরু হয় মাতৃগর্ভে থাকার সময় থেকেই। বিবিসি অনলাইন।

পর্যাপ্ত ভিটামিন বি গ্রহণ গর্ভবতীদের জন্য উপকারী
যেসব নারী গর্ভবতী অথবা গর্ভধারণ করার কথা ভাবছেন তাদের অবশ্যই ফলিক এসিডযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। শুধু গর্ভবতী নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন 'বি' সব বয়সের নারীদের জন্যই প্রয়োজনীয়। আসলে গর্ভধারণের আগেই জানা প্রয়োজন কি করে আসতে পারে সুন্দর সুস্থ একটি শিশু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ডাইম পেরেনটিয়াল গবেষণা কেন্দ্রের মতে, যেসব নারী গর্ভবতী অথবা গর্ভধারণ করার কথা ভাবছেন তাদের অবশ্যই ফলিক এসিডযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। ফলিক এসিডে রয়েছে ভিটাবিন বি। ফলিক এসিড মহিলাদের জরায়ুতে থাকাকালীন শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে শুধু গর্ভবতী নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন বি সব বয়সের নারীদের জন্যই প্রয়োজনীয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ডাইম পেরেনটিয়াল গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর ডা. জোয়ান পেটরিনি জানান, ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী অপরিকল্পিতভাবে গর্ভবতী হয়ে যায়। তাই সে সময় মাল্টি ভিটামিনের সঙ্গে ফলিক এসিড গ্রহণ করা প্রতিটি গর্ভবতী নারীর জন্য আবশ্যকীয়। তবে সুখবর এই যে, ৪০ শতাংশের বেশি নারী, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৫, তারা খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করছে, এ তথ্য ওই গবেষণা কেন্দ্রের সমীক্ষার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিষেধক কেন্দ্র সিডিসি'র মতে, মহিলারা যদি গর্ভধারণ করার এক মাস আগে থেকে এবং গর্ভধারণের তিন মাস পর্যন্ত একটানা ফলিক এসিড আছে এমন খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে তারা গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ক্ষতি এড়াতে পারবে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন! সুন্দর একটি ভবিষ্যতের জন্য, সুস্থ এক নবজাতকের জন্যই মায়েরা গ্রহণ করুন ফলিক এসিডযুক্ত খাবার। এতে ভালো থাকবে মা, ভালো থাকবে শিশু।

 বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা নতুন ভাইরাসকে মহামারী বলে ঘোষনা দিয়েছে
বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা(ডব্লিউত্রইও) নতুন সৃষ্ট ভাইরাস A(H1N1)কে মহামারী বলে ঘোষনা দিয়েছে.নতুন ত্রই ভাইরাসের নিরাময়ক কী হবে তা ত্রখনও আবিষ্কার হয় নি.ত্রবং কী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে তা অনিশ্চত.বললেন সংস্থার প্রতিনিধি গ্রেগরা.বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার তথ্য মতে ত্রই ভাইরাসে ত্রখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২৭৭০০ লোক আক্রান্ত হয়েছ ত্রবং মারা গেছে ১৪১ জন.সবচেয় বেশী মহামারীর রূপ ধারন করেছ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র.ত্রখানে আক্রান্ত হয়েছে ১৩০০০ জন.ত্রবং মেক্সীকোতে ৫০০০ জন. 


হঠাৎ কানে কম শুনছেন!
  ডা. সজল আশফাক,সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
হঠাৎ কানে কম শোনা একটি জরুরি চিকিৎসার বিষয়। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় মেডিক্যাল ইমারজেন্সি। আসলেই তো। ভাবুন, আপনি হঠাৎ করে বুঝতে পারলেন এক কানে খুব কম শুনছেন বা একেবারেই শুনছেন না! তখন আপনার মনের অবস্থাটা কেমন হবে! হঠাৎ করে কানে কম শোনার মতো সমস্যায় কিন্তু খুব বেশি লোক আক্রান্ত হয় না। কিন্তু কথা হচ্ছে, যার হয় তিনি-ই বুঝতে পারেন ব্যাপারটা কতটা বিমর্ষকর। সৌভাগ্যবশত হঠাৎ কানে কম শোনার বিষয়টি শুধু এক কানে হয়ে থাকে এবং সেরে ওঠার হারও ভালো। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার লোকের মধ্যে ১ জন ব্যক্তি হঠাৎ কম শোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিশ্বে বছরে প্রায় ১৫ হাজার লোক এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়। সমস্যা হতে পারে নারী-পুরুষ উভয়েরই। সাধারণত ৫০-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। তবে পরিসংখ্যান যাই হোক সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

হঠাৎ কানে কম শোনার সংজ্ঞা কি?

কানে অনেক সময়েই আমরা কম শুনি। কম শোনার বিষয়টি কিছুটা হলেও আপেক্ষিক। আর হঠাৎ বলতে আমরা কতটা সময়ের ব্যাপ্তিকে বুঝব? এই দু'টি বিষয়কে ব্যাখ্যা করার জন্য হঠাৎ কানে কম শোনার বিষয়টিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে। কম শুনছেন বলে অভিযোগ করার ৩ দিনের মধ্যে মূল সুর নির্ভর শ্রবণক্ষমতা নির্ণায়ক পরীক্ষার পরপর ৩টি ফ্রিকুয়েন্সিতে যদি কারো সংবেদন স্নায়ুজনিত শ্রবণক্ষমতা ৩০ ডেসিবেল-এর বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে ধরা পড়ে, তখন সেই ব্যক্তি হঠাৎ কানে কম শুনছেন বা সাডেন সেনসরি নিউরাল হিয়ারিং লস বা এসএসএনএইচএল আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করতে হবে।

যদিও এর কারণ অজানা, তবে....

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হঠাৎ কানে কম শোনার পিছনে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তারপরও যে ৪টি পথে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হয় সেগুলো হচ্ছে-

অন্তকর্ণের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন।

অন্তর্ণে রক্তপ্রবাহের স্বল্পতা।

অন্তকর্ণের ককলিয়া নামক অংশে অবস্থিত পর্দা ছিঁড়ে গেলে।

রোগ প্রতিরোধতন্ত্র সংক্রান্ত কানের রোগ।

যে কোনো রোগ এই ৪টি পথ পরিক্রমাকে আক্রান্ত হলে হঠাৎ শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

যেসব রোগের কারণে হঠাৎ কানে কম শোনা যেতে পারে সেগুলো হলো

ইনফেকশন : ব্যাকটেরিয়াজনিত

ইনফেকশনের মধ্যে রয়েছে- মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের আবরণীর প্রদাহ), সিফিলিস। ভাইরাল ইনফেকশনের মধ্যে মাম্পস, সাইটোমেগালোভাইরাস, রুবেলা, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, ভেরিসেলা/জোস্টার-ই বেশি দেখা যায়।

প্রদাহধর্মী রোগের মধ্যে রয়েছে : সারকয়েডোসিস, ওয়েগনার গ্রানুলোমেটোসিস ইত্যাদি।

টিউমার : ভেস্টিবুলার সোয়ানোমা (শতকরা ১০-১৯ ভাগ ক্ষেত্রে হঠাৎ কানে কম শোনা যায়, অন্যান্য ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে), লিউকেমিয়া, মায়েলোমা ইত্যাদি।

আঘাত : কানের হাড় টেম্পোরাল বোন ভেঙে গেলে, তীব্র শব্দের আঘাত, টেম্পোরাল বোন ফুটো হওয়ার মতো আঘাত।

বিষক্রিয়া : বিভিন্ন ওষুধের বিষক্রিয়ায় এমনটি হতে পারে। যেমন- অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড, সিসপ্লাটিন ইত্যাদি।

নিউরোলজিক বা নার্ভ সংক্রান্ত রোগ : যেমন- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, ফোকাল পনটাইন ইস্কেমিয়া ইত্যাদি।

অটোইমিউন রোগ বা নিজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ত্রুটিজনিত রোগ : যেমন- কোগান সিনড্রোম, এসএলই ইত্যাদি।

রোগ নির্ণয় করা যায় ইতিহাস ও পর্যবেক্ষণ

হঠাৎ কানে কম শোনার সংজ্ঞা অনুযায়ী বিষয়টিকে নিশ্চিতভাবে নির্ণয়ের জন্য রোগের ইতিহাস ও অডিওমেট্রি নামক পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সংজ্ঞানুযায়ী হঠাৎ কানে কম শোনার ঘটনাটি ৩ দিনের মধ্যে হতে হবে। সেই সঙ্গে অডিওমেট্রি পরীক্ষায় ব্যবহৃত ফ্রিকুয়েন্সিগুলোর মধ্যে (১২৫, ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৪০০০, ৮০০০) পরপর তিনটিতে ৩০ ডেসিবেলের বেশি স্নায়ুজনিত শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

অডিওমেট্রির যেসব পরীক্ষাগুলো করার দরকার হয় সেগুলোর মধ্যে আছে- পিওরটোন অডিওমেট্রি, টিম্প্যানোমেট্রি, স্টেপিডিয়াল রিফ্লেক্স টেস্ট ইত্যাদি।

দেখা গেছে বেশিরভাগ রোগী সকালে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ কানে কম শুনছেন বলে অভিযোগ করেন।

আক্রান্তদের অর্ধেকের মধ্যে মাথা ঘোরানোর উপসর্গ থাকে।

রোগী আফ্রিকান ও আমেরিকান হলে সিকেল সেল এনিমিয়া আছে কি না দেখতে হবে। যেসব কারণে হঠাৎ কানে কম শোনার ঘটনা ঘটে থাকে সে বিষয়ে বিস্তারিত ইতিহাস নিতে হবে।

ভেস্টিবুলার সোয়ানোমা, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার জন্য এমআরআই পরীক্ষা করতে হবে।

চিকিৎসা শুরু করতে হবে দ্রুত

কারণ নির্ণয় করার আগেই চিকিৎসা শুরু করতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। মূলত ভাইরাসজনিত এবং অটোইমিউন জাতীয় কারণকে শনাক্ত রেখে স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়ে থাকে এন্টিভাইরাল জাতীয় মুখে খাওয়ার ওষুধ। দেওয়া হয়ে থাকে রক্তনালি প্রসারক ওষুধ ও প্রস্রাববর্ধক ওষুধও। অজানা কারণে হঠাৎ কানে কম শোনার চিকিৎসা নিয়ে অনেক বির্তক আছে। বলা হয়ে থাকে শতকরা ৪৭ থেকে ৬৩ ভাগের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে নিজে থেকেই সেরে ওঠেন। অনেক সময় কার্বোজেন (৯৫% অক্সিজেন এবং ৫% কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মিলিত উপাদান) ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাজ্যের ১০০ জন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা পরিকল্পনায় দেখা গেছে তাদের মধ্যে শতকরা ৯৮.৫ ভাগ শুধু স্টেরয়েড, শতকরা ৪১ ভাগ রোগী সঙ্গে কার্বোজেন, শতকরা ৩১ ভাগ এসাইক্লোভির এবং শতকরা ৩৫ ভাগ রোগী বিটাহিস্টিন ব্যবহার করে থাকেন। তবে কারণ যাই হোক চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে হবে। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে শ্রবণক্ষমতা তত দ্রুত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে কফি
পৃথিবীতে বর্তমানে ২৫ রকমের কফি পাওয়া যায় তবে যে কফি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তার নাম কফি অ্যারাবিকা। কফিতে ক্যাফিন থাকায় এ নিয়ে কিছু মানুষের রক্ষণশীলতা রয়েছে, তবে পরিমিত পরিমাণে কফি পান করলে ক্ষতির চেয়ে উপকারের দিকটাই বেশি বলে এখন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। সমপ্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রমাণ করেছেন, কফির মধ্যে সুগন্ধি সৃষ্টিকারী যে উপাদানটি রয়েছে সেটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই মূল্যবান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মানবদেহে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কফি প্রস্তুত করার পর এটি যত তাড়াতাড়ি পান করা যায় এর উপকারিতা ততো বেশি পাওয়া যায়? যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। নিয়মিত ও পরিমিত মাত্রায় কফি পান করলে দেহের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং মেজাজও ফুরফুরে থাকে।