অজানা

 বিড়ালকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলায় ২৫০ পাউন্ড জরিমানা
রমিজ আহমদ:: বিড়ালকে বিনা কারণে ডাস্টবিনের মধ্যে ছুড়ে ফেলে কষ্ট দেওয়ায় ২৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে এক মহিলাকে।
বিনা কারণে বিড়ালটিকে ডাস্টবিনের ফেলে দিয়েছিল ৪৫ বছর বয়সী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মেরি বেইল। ঘটনাটি সরাসরি কেউ না দেখলেও বিড়ালকে ছুড়ে ফেলার দৃশ্যটি ধারণ হয়ে যায় নিরাপত্তা ক্যামেরায়। অবশেষে ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ালে বেইলের এমন নিষ্ঠুরতার জন্য কভেন্ট্রি ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট তাকে ২৫০ পাউন্ড জরিমানা করেন।

২১ আগস্ট, সন্ধ্যা। লোলা নামের বিড়ালটি বসে ছিল ডাস্টবিনের পাশের একটি দেওয়ালের উপর। সেটিকে আচমকা ঘাড় ধরে ডাস্টবিনের ভেতর ঢুকিয়ে ঢাকনা আটকে দেন বেইল। লোলা ঐ ডাস্টবিনের ভেতর ১৫ ঘন্টা আটকে ছিল। পরের দিন সকালে লোলার মালিক লোলাকে ডাস্টবিনের ভেতর থেকে উদ্ধার করে। লোলাকে ডাস্টবিনের ভেতর ঢুকিয়ে ঢাকনা আটকে দেওয়ার দৃশ্যটি ধারণ হয় তার মালিক স্টিফেইন ম্যান’র বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। সম্প্রতি মধ্য ইংল্যান্ডের ওই এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় লোলার মালিক বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিল। পরে স্টিফেইন সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে ওই মহিলার পরিচিতি চেয়ে সাহায্য চান। সেটি দেখে পশুপ্রেমিকরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বেইলের শাস্তি দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত প্রাণীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর আচরণের দায়ে বেইলকে ২৫০ পাউন্ড জরিমানা করেন।

বেইল কেন এমন কাজ করলেন সে বিষয়ে আদালতকে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নি। তবে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করে তার জন্য আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। আদালত আগামী পাঁচ বছর বেইলের পশু পালনের উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন।

যৌনতার দায়ে দন্ডাদেশের মুখোমুখি স্কুল সুপারভাইজার

আল আমিন : অপ্রাপ্ত বয়স্ক  শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পরায় চাকরীচ্যুতিসহ দন্ডাদেশের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সাউথ পোর্টের এক স্কুলের কভার সুপারভাইজার। নর্থ সেফটন আদালত সূত্রে জানা যায়, কাভার সুপারভাইজার হিনা পাটেল(৩৭) সাউথ পোর্টের বিরকডেল হাই  স্কুলের ১৫ বছর বয়সের  দুই শিক্ষার্থীর সাথে তার নিজ বাসায় যৌন সম্পর্কে  লিপ্ত হয়।
তার বিরুদ্ধে কাভার সুপারভাইজার হিসাবে তার  প্রতি শিক্ষার্থীদের যে আস্থা ছিল তা ব্যবহার করে  যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
আদালতে অভিযুক্ত ঐ অভিযোগ স্বীকার করেছেন আগামী মাসে লিভারপুল ক্রাউন কোর্টে হিনা পাটেলের ব্যপারে দন্ডাদেশ দেয়া হবে।
হিনা পেটেলের  বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরনের  অভিযোগ উঠার পরপরই চাকরি  থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিরকডেল  হাই স্কুলের প্রধান গারি লভেরিদ্গে বলেন, এই ধরনের  অপরাধের পুনরাবৃত্তি যেন  আর না হয় সে ব্যপারে আমাদের কে অনেক সচেতন থাকতে হবে।

খগেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে বেঁটে মানুষ
খগেন্দ্র বিশ্বের  সবচেয়ে বেঁটে মানুষ। নেপালের খগেন্দ্র থাপা মাগার  বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁর উচ্চতা ২৫ দশমিক ৮ ইঞ্চি। গত ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নিজের ১৮তম জন্মদিনে তিনি এ স্বীকৃতি পান।
নেপালের পোখারা শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কর্মকর্তা মার্কো ফ্রিগাত্তি গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সবচেয়ে বেঁটে মানুষ হিসেবে খগেন্দ্রর নাম ঘোষণা করেন।
খগেন্দ্রর আগে এ স্বীকৃতি ছিল কলম্বিয়ার নাগরিক এডওয়ার্ড নিনো হার্নান্দেজ। ২৪ বছর বয়সী হার্নান্দেজের উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি এবং ওজন সাড়ে পাঁচ কিলোগ্রাম। পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, খগেন্দ্রর উচ্চতা হার্নান্দেজের চেয়ে দুই ইঞ্চিরও কম। যদিও খগেন্দ্রর ওজন হার্নান্দেজের সমান। গতকালের আগ পর্যন্ত খগেন্দ্রর স্বীকৃতি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেঁটে মানুষ। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এক বিবৃতিতে জানায়, 'খগেন্দ্রকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে নেপাল যাওয়া বিচারকরা বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতি মানুষ হিসেবে তাঁর নাম নিশ্চিত করেছে। সুতরাং বৃহস্পতিবার থেকে ১৮ বছরের খগেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে বেঁটে মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন।' খগেন্দ্র পোখারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা পেশায় ফল বিক্রেতা। নিজের আকৃতি নিয়ে খগেন্দ্রর কোনো আক্ষেপ নেই। বরং বিয়ে করে স্ত্রীর হাত-ব্যাগে বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন তিনি। খগেন্দ্রর এ স্বীকৃতিতে তাঁর পরিবারের সবাই খুব খুশি।
উদ্ভিদ নিয়ে যত কথা
পৃথিবীর প্রকৃতি জগতে বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কিছু ফুল তাদের শিহরণশীল রংয়ের সঙ্গে এত নিখুঁতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে, তাদের সৌন্দর্য সবাইকে আকর্ষণ করে।
আবার এমনও কিছু কিছু ফুল রয়েছে যা দেখতে বিদঘুটে। শুধু তাই নয় এদের গন্ধও খুব বিক্ষুদে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল হলো 'রাফ্লেসিয়া আরন্ল্ড' (জধভভষবংরধ ধৎহড়ষফ)। এটি সুমাত্রার গভীর জঙ্গলে পাওয়া যায়। ফুলটির ব্যাস প্রায় ৩-৪ ফুট এবং এটি ওজনে প্রায় ১১ কিলোগ্রাম। রাফ্লেসিয়া ৩/৪ ইঞ্চি পুরু এবং এটি ৫-৭ দিন পর্যন্ত প্রস্ফুটিত থাকে। ফুলটির রং উষ্ণ রক্তবর্ণ অথবা কমলা বাদামি বর্ণের। রাফ্লেসিয়া একটি পরগাছা উদ্ভিদ। গাছের রস থেকে এটি জীবন ধারণ করে এবং এর কোনো পাতা নেই। রাফ্লেসিয়ার গন্ধ অনেকটা পচা মাংসের মতো, যার কারণে মাছি এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, এই মাছিই এর পরাগ মিলনের কাজ করে। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ফুলের গাছটি হচ্ছে গ্যালিনসোগা পার্বিফ্লোরা (মধষরহংড়মধ ঢ়ধৎারভষড়ৎধ)। এই গাছের ফুলগুলোর রং সাদা এবং মাথার দিকে জোড়া লাগানো। গাছটির প্রতিটি ফুল ১ মিলিমিটার লম্বা। পশ্চিম ভারতের পিলিয়া মাইক্রোফিলা (চরষবধ সরপৎড়ঢ়যুষষধ) গাছের ফুল ব্যাসের পরিমাণ হিসেবে সবচেয়ে ছোট ফুল-যার ব্যাস ০.৩৫ মি. মি.। এ ফুলগুলো ছাড়াও আরও কিছু ফুল আছে যেগুলো তাদের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের গুণান্বিত। যেমন-সাদা ম্যারিগোল্ড (সধৎরমষফ) ফুল পৃথিবীর সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য ফুল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুরপী কোম্পানি (ইঁৎঢ়বব পড়) এ ফুলের জন্য অ্যালিস ভঙ্ককে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ২০,০০০ ডলার পুরস্কার দেয়। আবার পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতিতে প্রস্ফুটনকারী ফুলগাছ হচ্ছে দুষ্প্রাপ্য পুরু রাইমন্ডি (ঢ়ঁৎঁ ৎধরসড়হফর) ফুলগাছ। এর পুষ্পবীজ ১৫০ বছর পর বিকশিত হয়। সেঞ্চুরি (পবহঃঁৎু) ফুলগাছেও ৪০ বছর পর প্রথম ফুল প্রস্ফুটিত হয়। আবার কিছু ফুল রয়েছে যাদের আকার অদ্ভুত ধরনের। ডুরালিয়া (ফঁৎধষরধ) ফুল দেখতে স্টার (ংঃধৎ) মাছের মতো। ক্যালিফোর্নিয়ার রেড উড বনের দানব সিকোয়া গাছ পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জীবন্ত গাছ। এটি প্রায় ৩৫তলা দালানের সমান উঁচু আর এর গুঁড়ির ঘের ৮২.৩ ফুট। বিশাল আকারের এ গাছের আনুমানিক ওজন ৭৫৬ টন। আর এর বয়স ২ হাজার বছরেরও বেশি। উদ্ভিদ নিয়ে এরকম আরও অনেক জানা-অজানা তথ্য রয়েছে। পৃথিবীর বুকে আজ পর্যন্ত বেঁচে থাকা সবচেয়ে প্রবীণ গাছের নাম হচ্ছে 'ব্রিসলকোন পাইন' গাছটির বয়স আনুমানিক ৫ হাজার বছর। আমেরিকার অ্যারিজোনা রাজ্যের মেক্সিকো সীমান্তে রয়েছে সোনোরান মরুভূমি। সাহারা মরুভূমির চেয়ে এখানে বৃষ্টিপাত কিছুটা বেশি হয়। ফলে এখানকার প্রান্তর সম্পূর্ণ বালুময় নয়, ঝোপ জাতীয় গাছ-গাছড়াতে ভরা। এখানে রয়েছে এক ধরনের দানব ক্যাকটাস, যেগুলো প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত উঁচু। এসব ক্যাকটাসের শরীরের ভেতর অনেকটা পিপের মতো। বৃষ্টির সময় ক্যাকটাস সেখানে পানি জমিয়ে রাখে। মজার ব্যাপার হলো, পানি জমিয়ে রাখার সময় পিপিগুলো আকারে বাড়তে থাকে। এসব ক্যাকটাস মরুভূমির বহু ধরনের প্রাণীর আশ্রয়স্থল।
  মিসরীয়দের পবিত্র আইবিস পাখি
প্রাচীনকালে মিসরীয়রা আইবিসকে অনেক 'পবিত্র' পাখি হিসেবে মেনে থাকত। তাদের দৈনন্দিন জীবনে 'পবিত্র আইবিসফিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা যেসব প্রাণীকে দেবতার প্রতীক হিসেবে গণ্য করত, তাদের মধ্যে আইবিসফিল বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবতা। প্যাপিরাসের তৈরি কাগজে আঁকা এক ছবিতে আছে- পরলোকের অনুষ্ঠানে দেবতা আইবিস পাখির মাথাসহ এক রুগ্ন ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড ওজন করছে। মন্দিরে জীবন্ত আইবিস পাখি রাখা হতো এবং মৃত্যুর পর এগুলোকে মমি বানানো হতো। দুর্ভাগ্যবশত মিসরীয় সংস্কৃতিতে আইবিসের গুরুত্ব সত্ত্বেও উনিশ শতকের মাঝামাঝি ওই দেশেই পাখিটির বিলুপ্তি ঘটে। যদিও অন্য দেশে আজো বেঁচে আছে। দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়া আইবিস সর্বত্র দেখা যায়। এরা সুনবিল পাখির জ্ঞাতি এবং একই বর্গভুক্ত। বিশ্বে এ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ২৫ ধরনের এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩ ধরনের। আইবিস মূলত পরপড়হরভড়ৎসবং বর্গের ঞযৎবংশরড়ৎহরঃযরফধপ গোত্রের পানিতে হাঁটা বকসদৃশ পাখি। এদের পা ও গলা লম্বা এবং ঠোঁট কাস্তের মতো নিচের দিকে বাঁকানো। জলাভূমির এ পাখি লম্বা পা ফেলে ঘুরে ঘুরে ছোট মাছ ও শামুক খায়। গলা ও পা ছড়িয়ে এবং ডানা ঝাপটে এরা উড়ে বেড়ায়। প্রজননকালে প্রায় দলবদ্ধ হয়ে নিচু ঝোপঝাড় বা গাছের ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। প্রতি বাসায় ডিমের সংখ্যা ৩ থেকে ৫টি।
 ঐক্যবদ্ধ প্রবাসী বাংলাদেশীরা হতে পারেন আমেরিকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চালিকা শক্তি
সন্ধায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্ট্রুরেন্ট্রে বরিশালের উজিরপুরবাসী কতৃক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ইলিয়াস খান উপরোক্ত কথা বলেন।
মোহাম্মাদ রুহুল আমিন নাসিরের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মাদ মহসিনের উপস্থাপনায় অনারম্বর এ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ও দৈনিক ইত্তেফাকের কুটনৈতিক রিপোর্টার মুসফিকুল ফজল আনসারী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহিন, প্রবাসি বরিশাল বিভাগীয় সমিতির সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ ।
বিশেষ অতিথি মুসফিকুল ফজল আনসারী তার বক্তব্যে জনাব ইলিয়াস খানের সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বর্ননা করে একজন বন্ধু হিসেবে সর্বদা কল্যান ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন।  গোলাম ফারুক শাহিন বলেনঃ প্রবাসে বরিশালের কয়েকটি সংগঠন থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে থাকি। মহাদূর্যোগ সিডরের সময়ে যেভাবে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিলাম অদুরভবিষ্যতে প্রবাসে একটি সংগঠনের আওতায় মিলিত হয়ে বরিশালের গুনি ব্যক্তিদের সম্মান করব ইনশাল্লাহ।  বরিশাল সমিতির উপদেষ্টা লুতফুর রহমান লাতু, বরিশাল বিভাগীয় সমিতির সহ সভাপতি কামরুজ্জান বাচ্চু, কাজী সাইদুর রহমান সাইদ সহ অন্যান্য সকলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্ঠা শেরে এ বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদানের কথা স্নরন করেন এবং জনাব ইলিয়াস খান যেন তার আদর্শ অনুকরন করে ভবিষ্যত দিন পরিচালনা করেন সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়া আসন্ন নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে গিয়াস বাবুল পরিষদে বরিশালের একমাত্র প্রার্থী জাকির হাওলাদারকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান করেন অনেকেই। বরিশাল বিভাগীয় সোসাইটি যুক্তরাষ্ট্র ইনকের সাবেক সাধারন সম্পাদক, প্রবাসীবার্তা ডট কমের প্রেসিডেন্ট ও প্রকাশক মতিউর রহমান লিটু জনাব ইলিয়াস খানের সাহসী সাংবাদিকতার প্রশংসা করেন এবং তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে অদুর ভবিষ্যতে তাকে বরিশালের নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাছে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্নের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ আমানত হোসেন আমান, সোহরাব হোসেন সরদার, মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মোঃ মাহাবুবুর রহমান, আবু বকর বেপারী, মোঃ শহিদুল্লাহ, আলমগীর হোসেন বাবুল, মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, আলী আহসান শামিম, মোঃ আজম জে চৌধুরী, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মাদ নুরে আলম চৌদধুরী, মোহাম্মাদ রুবেল গাজি, সাকির আহাম্মাদ, মোহাম্মাদ আজাদ তালুকদার, আসিক মাহামুদ সহ বরিশাল বিভাগের অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নৈশ ভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন সভাপতি মোহাম্মাদ রুহুল আমিন নাসির।
পৃথিবীর মতো বাসোপযোগী গ্রহের সন্ধান
এই প্রথম বিজ্ঞানীরা প্রাণের বসবাস-উপযোগী একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা ক্রুজ ও কার্নিজি ইনস্টিটিউশন অব ওয়াশিংটনের একদল গ্রহসন্ধানী জ্যোতির্বিদ গত বুধবার রাতে এ ঘোষণা দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সৌরজগতের বাইরে 'গি্লজ ৫৮১' নামের তারা ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে গ্রহটি। নতুন আবিষ্কৃত এ গ্রহ খুব গরম নয়, খুব ঠাণ্ডাও নয়। গ্রহটির অন্যান্য ভৌত-বৈশিষ্ট্যও প্রাণের অস্তিত্বের জন্য খুবই অনুকূল।
সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্রজগতের দূরত্বের তুলনায় পৃথিবী থেকে যথেষ্ট কাছেই অবস্থান করছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০ আলোকবর্ষ (এক আলোকবর্ষ সমান প্রায় ৯ লাখ ৪৬ হাজার কোটি কিলোমিটার)। অর্থাৎ আমরা যদি পৃথিবী থেকে এমন একটি নভোযানে চড়ি, যার গতিবেগ আলোর গতির ১০ ভাগের এক ভাগ, তবে নতুন এ গ্রহে পেঁৗছাতে প্রায় ২০০ বছর সময় লাগবে।
এ পর্যন্ত গি্লজ ৫৮১ নক্ষত্রের ছয়টি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর ভেতরে দুটি গ্রহ কয়েক বছর আগেই আবিষ্কার করা হয়েছিল, যার একটি ছিল যথেষ্ট উষ্ণ; অন্যটি খুব বেশি শীতল। সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি আগের দুটি গ্রহের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। অবস্থান হিসেবে এর নাম দেওয়া হয়েছে 'গি্লজ ৫৮১-জি'।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর তুলনায় গ্রহটির 'ব্যাসার্ধ' ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৪ গুণ বেশি। 'ভর' বেশি ৩ দশমিক ১ থেকে ৪ দশমিক ৩ গুণ। তবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর প্রায় সমান অথবা সামান্য বেশি। ফলে পৃথিবীর মানুষ এতে অনায়াসেই হাঁটাহাঁটি করতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের তুলনাও পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি। গ্রহটির উপরিভাগের গড় তাপমাত্রা অবশ্য পৃথিবীর তুলনায় একটু বেশি শীতল_সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। তবে এ তাপমাত্রায়ও প্রাণের অস্তিত্ব ভালোমতোই টিকে থাকা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গ্রহটির 'সূর্য' অর্থাৎ আলোর উৎস (গি্লজ ৫৮১) একটি লাল বামন নক্ষত্র। সূর্য এর চেয়ে আকারে প্রায় তিন গুণ বড় এবং তাপমাত্রায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি উষ্ণ। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৯ কোটি মাইল। সে হিসাবে আবিষ্কৃত গ্রহটি তার আলোর উৎস থেকে অনেক কাছে_মাত্র দেড় কোটি মাইল। এর সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে গ্রহটির সময় লাগে মাত্র ৩৭ দিন, যেখানে পৃথিবীর লাগে ৩৬৫ দিন। বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন, তরল পানি, পাথুরে স্থলভাগ ও একটি সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল রয়েছে গ্রহটির।
সব মিলিয়ে গ্রহটিকে পৃথিবীর প্রাণীর জন্য চমৎকার আবাসযোগ্য গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করছেন সান্তা ক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভেন ভোত। গ্রহটির একটি অংশ সব সময় এর সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, বিপরীত অংশ থাকে অন্ধকারে। গ্রহটির আলো-আঁধারের মধ্যবর্তী অঞ্চলটি প্রাণের বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেন অধ্যাপক স্টিভেন। এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, 'আমরা এত দ্রুত পৃথিবীর এত কাছাকাছি গ্রহটির সন্ধান পেয়েছি যে এটি এ ধরনের আরো গ্রহ আবিষ্কারের ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে।'
আলোকরশ্মির গতির পরোক্ষ পদ্ধতির (ইনডাইরেক্ট মেথড রেডিয়াল ভেলোসিটি) মাধ্যমে কেক-১ টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহটি আবিষ্কার করা হয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞানীদের ১১ বছর অনুসন্ধান চালাতে হয়েছে।
প্রাণের বসবাসের উপযুক্ত কোনো গ্রহের অস্তিত্ব কল্পবিজ্ঞানের মতো। প্রাণের আবাসযোগ্য পরিবেশের জন্য চাই এমন সব জটিল শর্তের সমন্বয়, যার অনেক কিছুর মেলার পরও অঙ্কের চূড়ান্ত ফলাফলে অনিশ্চয়তা থেকে যায় অনেক। অতীতে সৌরজগতের বাইরে বিভিন্ন সময় প্রায় ৫০০ ছোট-বড় গ্রহের সন্ধান মিলেছে। তবে সেগুলো প্রাণের বসবাস-উপযোগী ছিল না। তবে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটির ক্ষেত্রে এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে। সূত্র : এপি, নাসা, টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল।

টাইটানিকের গোপন রহস্য ফাঁস
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, অসাবধানতাবশতঃ নয়, বরং নাবিকের ভুলের কারণেই ডুবতে হয়েছে টাইটানিককে। আর গোপন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববাসীর কাছে আসল ঘটনা চেপে গেছেন টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার। এই সেকেন্ড অফিসারের আত্মীয়ের লেখা এই বইটিতে তিনি দাবি করেছেন, এতোদিন পর্যন্ত এটি ফ্যামিলি সিক্রেট হিসেবেই সবার মাঝে গোপন ছিল। খবর টাইম, বিবিসি ও হাফিংটন পোস্ট-এর।
বিবিসির বরাতে জানা গেছে, টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি ঔপন্যাসিক লুইস প্যাটার্ন তার নতুন এই বইয়ে জানিয়েছেন, একজন অফিসার টাইটানিককে আইসবার্গ বা বরফখন্ড থেকে দূরে নেয়ার বদলে উল্টো সেদিকেই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।
লুইস জানিয়েছেন, জাহাজ চালানোর ক্ষেত্রে স্টিয়ারিং ভিন্ন ভিন্ন জাহাজে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে। বাষ্পশক্তির সাহায্য চালিত জাহাজে রাডার অর্ডার এবং ইয়ট বা সেইলিং জাহাজের ক্ষেত্রে টিলার অর্ডারের সাহায্যে স্টিয়ারিং করা হয়। এগুলো একটি অপরটির বিপরীতভাবে কাজ করে। যেমন একটিতে স্টিয়ারিং ডানে ঘোরালে জাহাজও ডানে যাবে, অন্যটি যাবে বামে। লুইস দাবি করেছেন, যেই অফিসারকে আইসবার্গ দেখে জাহাজ ঘোরানোর নির্দেশ দেয়া হয়, তিনি তাড়াহুড়ায় ভুল করে যেদিকে বরফখণ্ড ঠিক সেদিকেই জাহাজের নাক ঘুরিয়ে ফেলেন। আর এর পরিণতি হয় দেড় হাজার প্রাণনাশ। বিবিসি জানিয়েছে, লুইস তার নতুন উপন্যাস গুড অ্যাজ ওল্ড-এ এসব বিষয় লিখেছেন।
সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা হয় জাহাজ ডুবে যাবার কিছুক্ষণ আগে। লুইসের দাবি অনুসারে, জাহাজ ডুবে যাওয়ার আগে টাইটানিকের চারজন সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেই অফিসাররা স্টিয়ারিং-এর এই ভুলের কথা বিশ্বের কাছে চেপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিষয়টি গোপনই ছিল। লুইসের মতে, সেই রাতের দুর্ঘটনার সত্যটা ইচ্ছে করেই চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনার পর চার্লস লাইটোলারই একমাত্র অফিসার যিনি ঐ গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বেঁচে গেছেন। তবে পরবর্তীতে অফিসিয়াল এনকোয়ারিতেও তিনি ঘটনাটি প্রকাশ করেননি। কেবল তিনি তার নিজের স্ত্রীর কাছে এই তথ্য জানিয়ে গেছেন বলেও জানিয়েছেন লুইস। পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য তিনি জানতে পারেন এবং বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেন।
অবশ্য পুরো ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে টাইম। তাদের মতে, গোপন বৈঠক থেকে কেবল একজনই বেঁচে যাওয়া, সেই একজনও কেবল তার স্ত্রীকেই বলা, তার স্ত্রীর মাধ্যমে লুইসের কানে যাওয়া ইত্যাদি ব্যাপারগুলো বিশ্বাস করা কঠিন। তবে তাই বলে তা সত্য নয় এমন কোনো ইঙ্গিতও দেয়নি টাইম।
  সুত্র: BdNews
বৃটেনে স্কার্ট পরিধানে স্কুল কতৃপক্ষের আপত্তি
 
আল আমিন :: “আপনার মেয়ের স্কার্টের আকার এতই ছোট যে আপনার মেয়ে তা নিয়ন্ত্রন করতে এত ব্যাস্ত থাকে যে সে ক্লাসে মনযোগ দিতে পারেনা”-কিনরসের একটি স্কুলের কয়েকজন অভিবাবককে এমন চিঠি পাঠিয়েছে স্কুলের কতৃপক্ষ। আপত্তিকর ভাবে ছোট আকারের স্কার্ট পরিধান করার কারনে স্কুল কতৃপক্ষ  তাদের অভিবাবক কে এমন ধরনের চিঠি দিচ্ছে।


ইয়র্কশায়ার  ও সুফফল্কের দুটি স্কুলে স্কার্ট পরা নিষিদ্ধ করার পর আর ডজন খানেক স্কুলে অনুরুপ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।


এ ব্যপারে  ধর্ষণের বিরুদ্ধে এক প্রচারণামূলক বক্তব্যে একজন স্কটিশ হেড বলেন, স্কার্টের আপত্তিকর আকার ছেলেদের মধ্যে অপ্রত্যাশিত চিন্তা ভাবনা তৈরী করে।


তবে এন্টি-রেপ  স্কটল্যান্ড নামের একটি ক্যাম্পেইন গ্রুপের মুখপাত্র এইলেন মিটল্যান্ড ঐ স্কটিশ হেডের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, “মিনি স্কার্টের  কারনে ধর্ষন হয় না,ধর্ষকই ধর্ষন করে”।

তবে অভিবাবকরা স্কুল কতৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে।তারা পেরেন্টিং ওয়েব সাইট নেটমমসে টেস্কোর বাজারজাতকৃত স্কার্টের আপত্তিকর আকারের জন্য টেস্কোকে সমালোচনা করেন।


অন্যদিকে  টিচার্স ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ক্রিস্টিয়ান ব্লোয়ার বলেন,পরিচ্ছদ নিয়ে স্কুল ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতা স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ কে নষ্ঠ করে দেয়।তাই স্কুল কতৃপক্ষের উচিত স্কুলের জন্য পরিচ্ছদ নির্দিষ্ট করে দেয়া।
 অ্যালকোহলজনিত মৃত্যুতে স্কটল্যান্ডের স্থানীয়রা অধিক ঝুঁকিতে
  নতুন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, স্কটল্যান্ডের দক্ষিণ সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের থেকে স্থানীয় স্কটিশদের মাঝে অ্যালকোহল সংক্রান্ত রোগের মাত্রা দ্বিগুণ। ইউকের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় ও এনএইচএস’র যৌথ জরিপে স্কটল্যান্ডে অ্যালকোহল সংক্রান্ত মৃত্যুর নানারকম তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে স্কটল্যান্ডে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়।

জরিপকারীরা  দেখেছেন যে, স্কটল্যান্ডে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস বিভিন্ন রকম। দেখা গেছে যে, স্কটল্যান্ডে বসবাসরত রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের অধিবাসীরা ওয়েলস ও ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের চেয়ে মদ্যপানজনিত কারণে বেশি মারা যায়। আবার অ্যালকোহলঘটিত রোগে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের অধিবাসীদের মৃত্যুর হার স্থানীয় স্কটিশদের চেয়ে ৬৪ শতাংশ কম। তবে নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে কিংবা স্থানীয় স্কটিশ ও ভারতীয়দের মাঝে অ্যালকোহলঘটিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো তারতম্য পরিলক্ষিত হয় নি।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, অ্যালকোহল  সংক্রান্ত মৃত্যুর ক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারীদের চেয়ে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারীদের মৃত্যুর হার ৭২ শতাংশ  কম।

ইউনিভার্সিটি  অব এডিনবার্গের প্রফেসর  রাজ ভুপাল বলেছেন: এই গবেষণার  একটা ভালো দিক হলো, এর ফলে  সবাই জেনেছে যে, অ্যালকোহলঘটিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য এবং স্কটল্যান্ডে এই প্রতিরোধব্যবস্থা শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

গবেষকরা জানিয়েছেন, লিভারে ব্যাধি, একসিডেন্ট এবং আত্মহত্যা’র  মৃত্যুর পেছনে অ্যালকোহল  সরাসরি জড়িত।

উল্লেখ্য, ইউকেতে বিশেষত স্কটল্যান্ডে অ্যালকোহলঘটিত মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। লিভার সিরোসিসের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ইউকের যেকোনো জায়গার চেয়ে স্কটল্যান্ডে অনেক বেশি। আর এই লিভার সিরোসিসের জন্যে সবচেয়ে বেশি দায়ি হলো অ্যালকোহল। জানা গেছে যে, কেবল অ্যালকোহলের কারণেই স্কটল্যান্ডে প্রতি বছর দেড় লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে।

 কম্পিউটার পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় জেল!

  
পুলিশকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানায় ১৬ সপ্তাহের জেল হয়েছে ওলিভার ড্রেইগ নামের ১৯ বছর বয়সী এক বালকের।
লিভারপুলে বসবাসকারী ড্রেইগকে পুলিশ শিশু যৌন হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের মে মাসে আটক করে । এ সময় পুলিশ তার ব্যক্তিগত কম্পিউটারটিও জব্দ করে।
কিন্তু তার কম্পিউটারে ৫০ কারেক্টারের পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকায় পুলিশ এর কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি ।পুলিশ গত সেপ্টেম্বর মাসে ড্রেইগের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড জানতে চাইলে সে অস্বীকৃতি জানায় যা  ‘রেগুলেশন অব ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ারস অ্যাক্ট -২০০০’ অনুযায়ী অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়।
এ কারণে প্রিস্টন কোর্ট গত সোমবার ড্রেইগকে ১৬ সপ্তাহের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
ড্রেইগকে ল্যাংকাশায়ারের ফ্রেকলেটন থেকে গ্রেফতার করা হলেও পরে লিভারপুলে স্থানান্তরিত করা হয়।

 সেন্ট্রাল লন্ডনে কুমারি মেয়ে বিক্রি করবার অপরাধে সংঘবদ্ধ চক্রের ৪ সদস্যের কারাদণ্ড
যৌনকর্মে  ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নারী পাচার এবং শিশু পতিতাবৃত্তির দায়ে একটি অপরাধী চক্রের চার সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দিয়েছে ইউকে’র হ্যারো ক্রাউন কোর্ট। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে এই রায় দেয়া হয়। আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে, গত বছরের এই সময়ে চক্রটি আরবীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে কমবয়সী বেশ কিছু কুমারি বালিকাকে যৌন উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে চেয়েছিল। চক্রের সাজাপ্রাপ্ত সদস্যরা হলো উত্তর লন্ডনের মাহরুখ জামালি (৪১) ও সারা বোর্দবার (৪৩) এবং উইগ্যানের ফাতিমা হাগনেগাত (২৪) ও তার স্বামী রেসুল গোলামপুর (৩০)।

জানা গেছে যে, সেন্ট্রাল লন্ডনের জুমেইরাহ কার্লটন হোটেলের মালিক, দুবাইয়ের কোটিপতি ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ আল মাকতুমের কাছে হাতে লেখা এক চিঠিতে চক্রটি তার কাছে বেশ কিছু কুমারি মেয়ে সরবরাহের অফার দেয়। ফাতিমা হাগনেগাত নামের একজন মহিলা ঐ ব্যবসায়ীর হোটেলে একটি চিঠি রেখে আসে যেখানে লেখা ছিল, “আমার নাম মেরি। দুবাইয়ে আপনার এক সহযোগীর সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। আমার কাছে ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সী ১২ জন মেয়ে রয়েছে। এদের সবাই এখন ইউকেতে অবস্থান করছে। এখানে তাদের বসবাসের বন্দোবস্ত করতে আমার বেশ খরচাপাতি হয়েছে। দয়া করে আমাকে স্মরণ করবেন। আমার জীবন আপনার অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করছে...।”

ঐ হোটেলের  একজন কর্মচারি এই চিঠিটি স্কটল্যান্ড  ইয়ার্ডের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ফার্সিভাষী একজন অফিসারকে সাথে নিয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে গোপন অভিযান পরিচালনা করে এবং অবশেষে সফল হয়।

ফার্সিভাষী পুলিশ কর্মকর্তাটি প্রথমে একজন সম্ভাব্য খদ্দের সেজে ঐ চক্রটির কাছে ফোন দিলে তারা তাকে জানায় যে, তাদের অধীনে ইরান, ইংল্যান্ড এবং ইস্টার্ন ইউরোপের ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সী বেশ কিছু কুমারি রয়েছে যাদেরকে তারা যৌন উদ্দেশ্যে সরবরাহ করতে পারবে। এরপর উত্তর-পশ্চিম লন্ডনে বসবাসরত মাহরুখ জামালি (৪১) ঐ কর্মকর্তার সাথে ল্যানকাস্টার লন্ডন হোটেলে সাক্ষাৎ করে এবং জানায় যে, তার কাছে এমন কিছু মেয়ে রয়েছে যারা এখনো কুমারি এবং খদ্দেররা তাদের সতীচ্ছদ করতে পারে! এরপর ঐ অফিসারের সাথে চক্রটির ডজনখানেক ই-মেইল চালাচালি হয় যাতে ১৪ বছর বয়সী একজন কুমারির যৌন উদ্দীপক ছবি ছিল।

এরপর দ্বিতীয়  সাক্ষাতে জামালি ঐ অফিসারকে জানায় যে, ১৩ বছর বয়সী দু’জন মেয়েসহ সে মোট পাঁচজন মেয়েকে লন্ডনে আনতে পারবে এবং প্রতিটি মেয়ের বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ পাউন্ড প্রদান করতে হবে।

এর পরদিন (গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর) ফাতিমা নামের ২৪ বছর বয়সী এক মহিলা সহযোগে জামালি ৬ জন মেয়েকে হোটেলে নিয়ে আসে। ঐ মেয়েদের সবার বয়স ছিল ১৪ থেকে ১৭ এর মধ্যে। এরপরই জামালি এবং ফাতিমাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

চক্রটির প্রতারণার শিকার মেয়েরা জানিয়েছে যে, ধনাঢ্য কারো বাড়ির পার্টিতে নাচবার কথা বলে তাদেরকে সেখানে নিয়ে আসা হয়। হোটেলে এনে তাদেরকে জানানো হয় যে, তাদেরকে মূলত যৌনকর্মে অংশ নিতে হবে। উল্লেখ্য, এসব মেয়েকে ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং ইরান থেকে নিয়ে এসেছিল ঐ চক্রটি।

দীর্ঘদিনের  বিচারিক প্রক্রিয় শেষে অবশেষে চক্রটির সদস্যদের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। যৌন উদ্দেশ্যে নারী পাচার এবং শিশু পতিতাবৃত্তির দায়ে চক্রটির প্রধান জামালিকে ৪ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে হ্যারো ক্রাউন কোর্ট। এছাড়াও হাগনেগাতকে ২ বছর ৬ মাস, বোর্দবারকে ২ বছর ৩ মাস এবং গোলামপুরকে ২ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
  পৃথিবীর মতো বাসোপযোগী গ্রহের সন্ধান
এই প্রথম বিজ্ঞানীরা প্রাণের বসবাস-উপযোগী একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা ক্রুজ ও কার্নিজি ইনস্টিটিউশন অব ওয়াশিংটনের একদল গ্রহসন্ধানী জ্যোতির্বিদ গত বুধবার রাতে এ ঘোষণা দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সৌরজগতের বাইরে 'গি্লজ ৫৮১' নামের তারা ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে গ্রহটি। নতুন আবিষ্কৃত এ গ্রহ খুব গরম নয়, খুব ঠাণ্ডাও নয়। গ্রহটির অন্যান্য ভৌত-বৈশিষ্ট্যও প্রাণের অস্তিত্বের জন্য খুবই অনুকূল।
সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্রজগতের দূরত্বের তুলনায় পৃথিবী থেকে যথেষ্ট কাছেই অবস্থান করছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০ আলোকবর্ষ (এক আলোকবর্ষ সমান প্রায় ৯ লাখ ৪৬ হাজার কোটি কিলোমিটার)। অর্থাৎ আমরা যদি পৃথিবী থেকে এমন একটি নভোযানে চড়ি, যার গতিবেগ আলোর গতির ১০ ভাগের এক ভাগ, তবে নতুন এ গ্রহে পেঁৗছাতে প্রায় ২০০ বছর সময় লাগবে।
এ পর্যন্ত গি্লজ ৫৮১ নক্ষত্রের ছয়টি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর ভেতরে দুটি গ্রহ কয়েক বছর আগেই আবিষ্কার করা হয়েছিল, যার একটি ছিল যথেষ্ট উষ্ণ; অন্যটি খুব বেশি শীতল। সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি আগের দুটি গ্রহের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। অবস্থান হিসেবে এর নাম দেওয়া হয়েছে 'গি্লজ ৫৮১-জি'।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর তুলনায় গ্রহটির 'ব্যাসার্ধ' ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৪ গুণ বেশি। 'ভর' বেশি ৩ দশমিক ১ থেকে ৪ দশমিক ৩ গুণ। তবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর প্রায় সমান অথবা সামান্য বেশি। ফলে পৃথিবীর মানুষ এতে অনায়াসেই হাঁটাহাঁটি করতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের তুলনাও পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি। গ্রহটির উপরিভাগের গড় তাপমাত্রা অবশ্য পৃথিবীর তুলনায় একটু বেশি শীতল_সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। তবে এ তাপমাত্রায়ও প্রাণের অস্তিত্ব ভালোমতোই টিকে থাকা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গ্রহটির 'সূর্য' অর্থাৎ আলোর উৎস (গি্লজ ৫৮১) একটি লাল বামন নক্ষত্র। সূর্য এর চেয়ে আকারে প্রায় তিন গুণ বড় এবং তাপমাত্রায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি উষ্ণ। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৯ কোটি মাইল। সে হিসাবে আবিষ্কৃত গ্রহটি তার আলোর উৎস থেকে অনেক কাছে_মাত্র দেড় কোটি মাইল। এর সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে গ্রহটির সময় লাগে মাত্র ৩৭ দিন, যেখানে পৃথিবীর লাগে ৩৬৫ দিন। বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন, তরল পানি, পাথুরে স্থলভাগ ও একটি সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল রয়েছে গ্রহটির।
সব মিলিয়ে গ্রহটিকে পৃথিবীর প্রাণীর জন্য চমৎকার আবাসযোগ্য গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করছেন সান্তা ক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভেন ভোত। গ্রহটির একটি অংশ সব সময় এর সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, বিপরীত অংশ থাকে অন্ধকারে। গ্রহটির আলো-আঁধারের মধ্যবর্তী অঞ্চলটি প্রাণের বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেন অধ্যাপক স্টিভেন। এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, 'আমরা এত দ্রুত পৃথিবীর এত কাছাকাছি গ্রহটির সন্ধান পেয়েছি যে এটি এ ধরনের আরো গ্রহ আবিষ্কারের ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে।'
আলোকরশ্মির গতির পরোক্ষ পদ্ধতির (ইনডাইরেক্ট মেথড রেডিয়াল ভেলোসিটি) মাধ্যমে কেক-১ টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহটি আবিষ্কার করা হয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞানীদের ১১ বছর অনুসন্ধান চালাতে হয়েছে।
প্রাণের বসবাসের উপযুক্ত কোনো গ্রহের অস্তিত্ব কল্পবিজ্ঞানের মতো। প্রাণের আবাসযোগ্য পরিবেশের জন্য চাই এমন সব জটিল শর্তের সমন্বয়, যার অনেক কিছুর মেলার পরও অঙ্কের চূড়ান্ত ফলাফলে অনিশ্চয়তা থেকে যায় অনেক। অতীতে সৌরজগতের বাইরে বিভিন্ন সময় প্রায় ৫০০ ছোট-বড় গ্রহের সন্ধান মিলেছে। তবে সেগুলো প্রাণের বসবাস-উপযোগী ছিল না। তবে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটির ক্ষেত্রে এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে। সূত্র : এপি, নাসা, টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল।

টাইটানিকের গোপন রহস্য ফাঁস
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, অসাবধানতাবশতঃ নয়, বরং নাবিকের ভুলের কারণেই ডুবতে হয়েছে টাইটানিককে। আর গোপন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববাসীর কাছে আসল ঘটনা চেপে গেছেন টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার। এই সেকেন্ড অফিসারের আত্মীয়ের লেখা এই বইটিতে তিনি দাবি করেছেন, এতোদিন পর্যন্ত এটি ফ্যামিলি সিক্রেট হিসেবেই সবার মাঝে গোপন ছিল। খবর টাইম, বিবিসি ও হাফিংটন পোস্ট-এর।
বিবিসির বরাতে জানা গেছে, টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি ঔপন্যাসিক লুইস প্যাটার্ন তার নতুন এই বইয়ে জানিয়েছেন, একজন অফিসার টাইটানিককে আইসবার্গ বা বরফখন্ড থেকে দূরে নেয়ার বদলে উল্টো সেদিকেই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।
লুইস জানিয়েছেন, জাহাজ চালানোর ক্ষেত্রে স্টিয়ারিং ভিন্ন ভিন্ন জাহাজে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে। বাষ্পশক্তির সাহায্য চালিত জাহাজে রাডার অর্ডার এবং ইয়ট বা সেইলিং জাহাজের ক্ষেত্রে টিলার অর্ডারের সাহায্যে স্টিয়ারিং করা হয়। এগুলো একটি অপরটির বিপরীতভাবে কাজ করে। যেমন একটিতে স্টিয়ারিং ডানে ঘোরালে জাহাজও ডানে যাবে, অন্যটি যাবে বামে। লুইস দাবি করেছেন, যেই অফিসারকে আইসবার্গ দেখে জাহাজ ঘোরানোর নির্দেশ দেয়া হয়, তিনি তাড়াহুড়ায় ভুল করে যেদিকে বরফখণ্ড ঠিক সেদিকেই জাহাজের নাক ঘুরিয়ে ফেলেন। আর এর পরিণতি হয় দেড় হাজার প্রাণনাশ। বিবিসি জানিয়েছে, লুইস তার নতুন উপন্যাস গুড অ্যাজ ওল্ড-এ এসব বিষয় লিখেছেন।
সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা হয় জাহাজ ডুবে যাবার কিছুক্ষণ আগে। লুইসের দাবি অনুসারে, জাহাজ ডুবে যাওয়ার আগে টাইটানিকের চারজন সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেই অফিসাররা স্টিয়ারিং-এর এই ভুলের কথা বিশ্বের কাছে চেপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিষয়টি গোপনই ছিল। লুইসের মতে, সেই রাতের দুর্ঘটনার সত্যটা ইচ্ছে করেই চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনার পর চার্লস লাইটোলারই একমাত্র অফিসার যিনি ঐ গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বেঁচে গেছেন। তবে পরবর্তীতে অফিসিয়াল এনকোয়ারিতেও তিনি ঘটনাটি প্রকাশ করেননি। কেবল তিনি তার নিজের স্ত্রীর কাছে এই তথ্য জানিয়ে গেছেন বলেও জানিয়েছেন লুইস। পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য তিনি জানতে পারেন এবং বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেন।
অবশ্য পুরো ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে টাইম। তাদের মতে, গোপন বৈঠক থেকে কেবল একজনই বেঁচে যাওয়া, সেই একজনও কেবল তার স্ত্রীকেই বলা, তার স্ত্রীর মাধ্যমে লুইসের কানে যাওয়া ইত্যাদি ব্যাপারগুলো বিশ্বাস করা কঠিন। তবে তাই বলে তা সত্য নয় এমন কোনো ইঙ্গিতও দেয়নি টাইম।
                                                              সুত্র: BdNews