‘সিটি হল’র জানালা পরিষ্কারের বার্ষিক খরচ ১৪০,০০০ পাউন্ড
লন্ডন অ্যাসেম্বলির ‘সিটি হল’ ভবনের নকশাটা করদাতাদের জন্য যেন বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। কেননা এই ভবনের জানালা পরিষ্কার করার জন্য তাদেরকে বছরে ১৪০,০০০ পাউন্ড বিল দিতে হচ্ছে। এই ভবনের ৩০০০ হাজারের অধিক কাঁচের প্যান ধোয়ার জন্য বর্তমানে মাসে ১৩,৬০০ পাউন্ড খরচ পড়ে যা এর প্রতিষ্ঠাকালীন খরচের দ্বিগুণ। এর জটিল নকশার কারণে অনেক কাঁচ অপরিচ্ছন্ন থেকে যায় বলে দাবী করে এর ভিতরে কর্মরত শ্রমিকরা ।
‘গ্রেটার লন্ডন অথরিটি (জিএলএ)’র এক হিসাবে দেখা যায়, গত অর্থবছরে লন্ডনের হেডকোয়ার্টারের মেয়রের কাচঁ পরিষ্কার করার জন্য ১৩৮,৯৩০ পাউন্ড খরচ হয়েছিল। তৎকালীন মেয়র কেন লিভিংস্টোন ২০০২ সালে এর জন্য ৬১,০০০ পাইন্ড পরিশোধ করেছিল বলে স্বীকার করেন।
‘বরিস জনসন’ অফিস জানায়, এই কাজের জন্য বাজার মূল্য পরিশোধ করা ও একটি নির্দিষ্ট মান পর্যন্ত কাচঁগুরো পরিষ্কার করার কথা এর ইজারায় উল্লেখ করা থাকে।
সিটি হলের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ক্যারোলিন পিজন জানান, এই ভবন নির্মানের সময় এত বেশি ব্যয়ে কিভাবে এর জানালাগুলো পরিষ্কার করা হবে তা কেউ ভেবে দেখেনি। ফলে এখন এ অদক্ষতার খেসারত দিতে হচ্ছে।
এই ভবন নির্মাণে বাস্তবতার চেয়ে নকশার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনেকগুলো কাচঁ অপরিচ্ছন্ন রয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কেন এর জানালা পরিষ্কার করার খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আজ বড় প্রশ্ন”।
এর জানালাগুলোকে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা যন্ত্র ও উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন স্টাফের প্রয়োজন হয় বলে জানায় জিএলএ।
মাদাম তুসোর মোমের যাদুঘর
পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হচ্ছে যাদুঘর। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে দেশে যাদুঘর আছে। যার মধ্যে অনেকগুলি আছে বিখ্যাত যাদুঘর। এই সকল বিখ্যাত যাদুঘরের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদাম তুসোর মোমের যাদুঘর।
বিখ্যাত যাদুঘরের কথা বলতে গেলে এই যাদুঘরের কথা প্রথমে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইউর্কে অবস্থিত এই বিখ্যাত যাদুঘর। এই যাদুঘরে পৃথিবীর বিভিন্ন খ্যাতিমানদের মোমের মূর্তি বানিয়ে রাখা হয় সে জন্য এই যাদুঘরকে মোমের যাদুঘর বলা হয়। এই যাদুঘরের শুরুটা করেছিলেন মাদাম তুসো। ফরাসি বিপ্লবের সময় তিনি এটি নির্মাণ করেন এবং সংগ্রহের সূচনা করেন। কাউকে মৃত্যূদন্ড দেয়া হলে তার কাটা মাথাটিকে দিয়ে মোমের প্রতিকৃতি তৈরি করতেন তুসো। তারপর এই প্রতিকৃতিটিকে সেখানে স্থাপন করতেন। এই যাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত নমুনাটি হচ্ছে প্রথম ফরাসি রাজার কাটা মাথার প্রতিকৃতি। বর্তমানে এই বিখ্যাত যাদুঘরে পৃথিবীর বিভিন্ন খ্যাতিমান নারী-পুরুষের প্রতিকৃতি মোম দ্বারা তৈরী করে প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী এই যাদুঘর প্রদর্শন করতে আসে। মরুভূমিতে জীবের বেঁচে থাকা
মরুভূমি এমন এক জায়গা, যেখানে পানি পাওয়া কষ্টকর আর চারপাশে শুধু বালি। পানির এমন অভাব বলে মরুভূমিতে গাছপালা বা জন্তু-জানোয়ার বেঁচে থাকা কষ্টকর ব্যাপার। পারে শুধু তারাই, যাদের পানি না হলেও বাঁচা সম্ভব। মরুভূমিতে দিন আর রাতের তাপমাত্রার মধ্যে তারতম্য বিস্তর। দিনে প্রচণ্ড গরম, তবে রাতে ঠাণ্ডা। রোদের এই প্রচণ্ড তাপ থেকে বাঁচার জন্য জন্তু-জানোয়াররা সব ঝোপঝাড়ের মধ্যে ঢুকে প্রাণ বাঁচায়। বৃষ্টি হলেই গাছপালা, জন্তু-জানোয়াররা নিজের শরীরের মধ্যে যতটা পারে পানি জমিয়ে রাখে। মরুভূমিতে গেলে অনেক রকম জন্তু-জানোয়ারের সঙ্গে আপনার পরিচয় হবে। শামুক, গেঁড়ি তো অজস পাওয়া যায়। কাঠবেড়ালির লেজের মতো ল্যাজওয়ালা এক ধরনের মেঠো ইঁদুর আমেরিকার মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায়। এদের বলা হয় প্যাক রেট। জারবোয়া নামে এক ধরনের জীব আফ্রিকা আর এশিয়ার মরুভূমিতে পাওয়া যায়। পেছনের ঠ্যাং দুটো লম্বা হওয়ায় এদের দেখায় ক্যাঙ্গারুর মতো। আরব দেশের আর আফ্রিকার মরুভূমিতে নেকড়ের মতো এক ধরনের জানোয়ার আছে। নানা রকম গিরগিটি, পেঁচা, পোকামাকড়, পিঁপড়া সবাই বসবাস করে মরুভূমির বুকে। বেঁচে থাকার জন্য এদের কারোরই খুব বেশি পানির দরকার পড়ে না। কারণ প্রস্রাব বা ঘামের আকারে এদের শরীর থেকে খুব কম পরিমাণ পানিই বের হয়। এদের প্রস্রাব হয় খুব সামান্য আর তাতে থাকে শুধুই ইউরিয়া আর ইউরিক এসিড। মরুভূমির এসব জন্তু-জনোয়ারের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে উটের স্থান উঁচুতে। আদর করে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। শুকনো ঘাস আর কাঁটা ঝোপঝাড় খেয়ে এদের দিন কাটে। উটের পিঠে যে বেঢপ কুঁজ আছে তাতে চর্বি ভর্তি থাকে। এখান থেকে সে শক্তি সংগ্রহ করে। পানি না খেয়ে এরা দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয়। আর যখন খায় তখন এক চুমুকে ২৫ গ্যালন পানি খেয়ে ফেলে। ধীরগতিতে এদের শরীর থেকে পানি বের হতে থাকে। যতই বালি উড়ুক না কেন, উটের নাক, কান, চোখ এমনভাবে তৈরি এদের কিছু হয় না।
মোটামুটি দুই জাতের গাছপালা মরুভূমিতে দেখা যায় । কাঁটা গাছের ঝোপঝাড় আর ফণিমনসা। ঝোপঝাড়গুলোর কাঁটার চেয়ে পাতার বাহার বেশি। পাতা কম হওয়ার দরুন এসব গাছের নির্জলীকরণ হয় কম। ফণিমনসার গুঁড়ি হয় বেশ জাঁকালো। পাতা একদম নেই, আছে শুধু কাঁটা। গুঁড়ির উপরের বাকল শক্ত হয়। আর সেজন্য সেখানে পানি মজুদ করা থাকে। কয়েক জাতের ফণিমনসার কাঁটা আবার মাথা নিচু করে পৃথিবীর দিকে চেয়ে থাকে।
মোটামুটি দুই জাতের গাছপালা মরুভূমিতে দেখা যায় । কাঁটা গাছের ঝোপঝাড় আর ফণিমনসা। ঝোপঝাড়গুলোর কাঁটার চেয়ে পাতার বাহার বেশি। পাতা কম হওয়ার দরুন এসব গাছের নির্জলীকরণ হয় কম। ফণিমনসার গুঁড়ি হয় বেশ জাঁকালো। পাতা একদম নেই, আছে শুধু কাঁটা। গুঁড়ির উপরের বাকল শক্ত হয়। আর সেজন্য সেখানে পানি মজুদ করা থাকে। কয়েক জাতের ফণিমনসার কাঁটা আবার মাথা নিচু করে পৃথিবীর দিকে চেয়ে থাকে।
১০০০ নারীকে ধর্ষণ
কমপক্ষে এক হাজার নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মাত্র ১৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন জার্মানীর এক আদালত। ৪৬ বছরের জর্জ পি নামের ওই ব্যক্তি আদালতে ¯^xKvi করে বলেছেন, হলিউডের দ্য সাইলেন্স অব দ্য j¨v¤^mÓ ছবির মূল চরিত্র দস্যু জেম Mv¤^‡K অনুসরণ করে তিনি কমপক্ষে এক হাজার নারীকে ধর্ষণ করেন। আর এতগুলো ঘটনা তিনি একদিনে ঘটাননি, এতে তার সময় লেগেছে ২২ বছর। খবর পিটিআই ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে জর্জ আদালতের উদ্দেশে বলেন, হলিউডের দ্য সাইলেন্স অব দ্য j¨v¤^mÓ ছবিতে অযান্ধনি হপকিনস দস্যু জেম Mv‡¤^i চরিত্রে যেমন নিজেকে সাহায্যের কথা বলে কৌশলে অন্যের বাড়ীতে প্রবেশ করে বাসিন্দাদের মাথায় আঘাত করে আহত করেন, ঠিক একই কায়দায় তিনি টয়লেট ব্যবহারের কথা বলে অন্যের বাড়ীতে প্রবেশ করে ওই বাড়ির লোকজনকে আঘাত করে আহত করেন। এই দীর্ঘ সময়ে জর্জ ওই দস্যুকে অনুসরণ করে হল্যান্ড, জার্মানী, বেলজিয়াম ও লুকে্রমবার্গে কমপক্ষে ২০ জন নারীকে ধর্ষণ করেন বলে জানান। তবে তার ধর্ষণের শিকার নারীদের প্রায় সবাই ছিল নম্র প্রকৃতির। জর্জ আদালতকে বলেন, সাধারনত যে বাড়ীতে একজন নারী একা বসবাস করতেন, সেসব বাড়িই তিনি টার্গেট করতেন। আর ধর্ষণের উদ্দেশে তিনি বেছে নিতেন রাতকে। রাতে তিনি নাইলনের একটি মুখোশ পরে ছুরি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন এবং কোন না কোন বাড়িতে ঢুকে গৃহবাসী নারীকে ধর্ষণ করতেন। জর্জ পুলিশকে বলেন, এসব ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত কিন্তু আমি আমাকে সহায়তা করতে পারিনি। জার্মানির আলটেনারের বাসিন্দা জর্জকে মার্চ মাসে আটক করে পুলিশ। পেনিসিলিন আবিষ্কারের মজার কাহিনী
১৯২১ সাল। একদিন ইংল্যান্ডের সেন্ট মেরিজ মেডিকেল স্কুলের ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। কয়েকদিন ধরে তিনি সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি তখন সেটে জীবানু কালচার নিয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ হাঁচি এলো। তিনি নিজেকে সামলাতে পারলেন না। সেটটা সরাবার আগেই নাক থেকে কিছুটা সর্দি সেটের উপর পড়ে গেল। পুরো জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেল দেখে সেটটা এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন আরেকটা সেট নিয়ে কাজ শুরু করলেন। কাজ শেষ করে বাড়ী ফিরে গেলেন।পরদিন ল্যাবরেটরিতে ঢুকে টেবিলের এক পাশে সরিয়ে রাখা সেটটার দিকে নজর পড়লো, ভাবলেন সেটটা ধুয়ে কাজ করবেন, কিন্তু সেটটা তুলে ধরে চমকে উঠলেন। দেখলেন, গতকালের জীবাণুগুলো আর নেই।
দেহ নির্গত এই প্রতিষেধক উপাদানটির নাম দিলেন লাইসোজাইম। দীর্ঘ ৮ বছর পর হঠাৎ একদিন কিছুটা আকষ্মিকভাবেই ঝড়ো বাতাসে খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু পাতা উড়ে এসে পড়ল জীবাণুভর্তি প্লেটের উপর। কিছুক্ষন পরে কাজ করার জন্য প্লেটগুলো টেনে নিয়ে দেখলেন জীবানূর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাইম। তাই এর নাম দিলেন পেনিসিলিন। এভাবে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিস্কার করেন।
রসায়ন সম্মন্ধে জ্ঞান না থাকার কারণে পেনিসিলিন আবিস্কার করলেও ঔষধ কিভাবে প্রস্তুত করা যায় তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি।
এরপর ডাঃ ফ্লোরি ও ড. চেইন পেনিসিলিনকে ঔষধে রুপান্তর করেন। হিটলারের প্রেম সমাচার
আমরা জানি এ্যডলফ হিটলার মনূষ্য সভ্যতার উপর ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা কি জানি তার এই খুনি মানসিকতার পিছনে কি কারন লুকিয়ে ছিলো?
এক ইহুদী কন্যাকে একতরফা ভালবেসেছিলেন তিনি এবং এরপর তাকে না পেয়ে চরম মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন। প্রিয়তমাকে না পাওয়ার যাতনায় নিজের মধ্যে দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আর চিত্তের এই আগুন তাকে তাকে শেষ পর্যন্ত নায়কের আসন থেকে নামিয়ে ইতিহাসের খলনায়কের আসনে বসিয়ে দেয়। হিটলারের মহা ˆ¯^ivPvi হয়ে ওঠার গল্পটা বলেছেন তারই বাল্যকালের বন্ধু কুবিজেক তার দ্য ইয়ং হিটলার আই নিউ” নামক বইয়ে। বইটির ছত্রে ছত্রে জড়িয়ে আছে প্রেমিক হিটলারের নানা অজানা কাহিনী। একটি বৃটিশ দৈনিকে চাঞ্চল্যকর এই বইয়ের কথা প্রকাশ পেয়েছে।
এ্যডলফ হিটলারের বয়স যখন ষোল তখন হঠাৎ একদিন অষ্ট্রেলিয়ায় স্টেফানি ইসাকের সাথে তার পরিচয় হয়। ছিপছিপে এই ইহুদি সুন্দরীকে প্রথম দর্শনেই ভালবেসে ফেলেন হিটলার। সেই থেকে দীর্ঘ চারটি বছর প্রেমের জোয়ারে ভাসা। কুবিজেক লিখেছেন, এ্যডলফ পাগলেন মতো স্টেফিনাকে ভালবাসতেন। ও যদি একবার হেসে তাকাতো তার দিকে ওতেই ধন্য হয়ে যেতেন তিনি। তার সংঙ্গে ঘর বাধাঁর ¯^cœ দেখতেন হিটলার। কিন্তু স্টিফানি কোন দিনও হিটলারকে ভালবাসেনি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি একবার তাকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন। প্রয়োজনবোধে দুজন পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ার ইচ্ছাও ছিল হিটলারের। সকল চেষ্টার পরও স্টেফিনা তার প্রেমকে গ্রহন করেনি।
স্টেফিনাকে শেষ পর্যন্ত না পাওয়ার যন্ত্রনা তাকে চরম ইহুদী বিদ্বেষী করে তোলে। হয়তো এই প্রেম প্রত্যাখ্যানই তাকে ইহুদী নিধনযজ্ঞে প্ররোচিত করে এবং এখান থেকেই তার মধ্যে দেখা যায় এক যুদ্ধবাজকে। কুবিজেক লিখেছেন যদি স্টেফিনা এ্যডলফের প্রেম প্রত্যাখ্যান না করতো তবে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যঃ মেয়েতে মেয়েতে বিয়ে।
একটি মেয়ে বিয়ে করছে আরেক মেয়েকে। বিষয়টা অবিশ্বাস্য ও অবৈধ। কিন্তু বিশ্বে এমন কিছু জায়গাও আছে যেখানে এটা বৈধ এবং এটাই ¯^vfvweK| এমনই একটি দেশ তানজানিয়া। তানজানিয়ার একটি উপজাতি কুরিয়া। এ সমপ্রদায়ের ঐতিহ্য হলো বয়স্ক মহিলারা প্রয়োজনে বিয়ে করে থাকেন তরুণীদের। তারা পরিবারের সম্পত্তি দেখাশুনা করে।
এমনই একজন মহিলা অ্যানা মিতা। বয়স ৬৫। ১৫ বছর আগে তিনি বিধাবা হয়েছেন। তার ঘরে কোন সন্তান ছিল না, যারা ভবিষ্যতে তার সম্পত্তি দেখে রাখতে পারবে। তাই বছর পাঁচেক আগে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আরেকাট বিয়ে করার। সেটা ছিল ২০০৫ সাল। সে সময় তিনি বিয়ে করেন ২৩ বছরের জোহারিকে। অবশ্য জোহারিকে বিয়ে করার জন্য মিতাকে অনেক যৌতুক দিতে হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ৯ টি গরু, বেশ কয়েকটি মদের বোতল এবং আরও অনেক কিছু। তবে সবাই জোহারির মতো নয়। যেমন, এ ধরনের বিয়ের পক্ষে নন ১৯ বছরের জাচারিয়া। তার বিয়ে হয়েছিল এক বয়স্ক মহিলার সাথে। কিন্তু সেই মহিলা প্রতিদিন জাচারিয়াকে মারধর করত। ফলে এক সময় জাচারিয়া ওই মহিলার কাছ থেকে পালিয়ে আসে। এখন সে কাজ করে একজনের বাড়ীতে এবং এভাবেই সে জীবন চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, তানজানিয়ায় সাধারনভাবে মেয়েতে মেয়েতে বিয়ে অবৈধ। কিন্ত একমাত্র কুরিয়া সমপ্রদায়ের জন্য এটি ব্যতিক্রম। আফ্রিকার অনেক জায়গাতেই এক সময় এই ধরনের বিয়ের প্রচলন ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা কমে আসছে। বর্তমানে নাইজেরিয়ার দক্ষিন-পূর্বের কিছু জায়গাতেও এই ধরনের বিয়ে প্রচলিত আছে। ডেভিডের বিচিত্র মধূচন্দ্রিমা
নব দম্পতি স্যন্ডি এবং ডেভিড আইসন জানত তারা যথা সময়ে বিয়ে করেছে। কিন্তু মধূচন্দ্রিমা তাদের জন্য যথাযথ ছিল না। বিয়েতে উপহার পাওয়া নতুন ব্রান্ডের পোরশে গাড়ী নিয়ে ফ্রান্স সফরে বেরিয়েছিলেন তারা। কিন্তু গাড়িটি মাঝ পথে বিগড়ে যায়। গাড়ি আবার চালু করতে পকেট থেকে গচ্চা দিতে হয় ১০০ পাউন্ড। কিন্তু পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা দেখেন চুরি হয়ে গেছে তাদের বিয়ের উপহার গাড়িটি। তবে ভালবাসা দিযে সবকিছু জয় করার সংকল্পে এ দম্পতি ভাড়া গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু গাড়িটির গিয়ারে মারাত্নক সমস্যা দেখা দেয়। বেচারী স্যন্ডিকে ইউরোপ ভ্রমণ অসমাপ্ত রেখেই বাড়ি ফিরতে হয়। সে বিয়ের আংটি আঙ্গুলে পরতে পারতো না, পরলেই সাংঘাতিক হাত চুলকানি শুরু হয়ে যেত। ভ্রমণ পথে বারবার অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল সে, হয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং সানষ্টোকের শিকার। তারা বাধ্য হয়ে অক্্রফোর্ডশায়ারে বাড়ির পথ ধরেন। তবে দূর্ভাগ্য তখনও তাদের পিছু ছাড়েনি। ডোভারে স্যান্ডি আবিস্কার করে তার পার্স থেকে ১০০ পাউন্ড লাপাত্তা। তারা বাড়ী ফিরে আসে হতোদ্যম দেহ মন নিয়ে। কিন্তু ভোর বেলা পুলিশের কড়া নাড়ার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় নবদম্পতির। পুলিশ জানায়, ডেভিডের প্রাণী বিক্রির দোকানে চোর ঢুকেছে, এ্যলার্ম বাজছে সেখানে। ক্লান্ত ডেভিড টলতে টলতে তার দোকানে গিয়ে দেখে একটা চিনচিলা খাঁচা ভেঙ্গে পালানোর সময় এ্যলার্ম বাজিয়ে দিয়ে গেছে। সম্ভবত অ্যালার্মের সংঙ্গে বাড়ি খেয়েছিলো প্রাণীটা। এ্যলার্ম বন্ধ করে বাড়ি ফিরে আসে ডেভিড। এর কিছুক্ষন পর সত্যি সত্যি চোর ঢোকে ওর দোকানে।ভয়ানক অস্ত্র "বুমেরাং"
বুমেরাং প্রাচীন অস্ট্রেলিয়ার একটি ভয়ানক অস্ত্র। এটি দিয়ে মানুষ বা শক্তিশালী জন্তু-জানোয়ারকে সহজেই আক্রমণ করা যায়। সুদূর অতীতে দ্বৈরথ যুদ্ধে পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনীর প্রধান হাতিয়ার ছিল এই বুমেরাং।বুমেরাং একটি সরল মারণাস্ত্রের নাম। এটি প্রথম তৈরি করেছিল আদিম অস্ট্রেলীয়রা। এরপর অস্ট্রেলীয়দের অনুকরণে ভারতেও এর ব্যবহার শুরু হয়। এশীয় ও মিসরীয় যোদ্ধারা সবসময় বুমেরাং ব্যবহার করত।
প্রাচীন ভারতীয়রা যে বুমেরাং তৈরিতে পারদর্শী ছিল, সেটা জানা যায় তাদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান জাদুঘরে সুসজ্জিত অজস দেয়ালচিত্র দেখে। তবে একথা সত্যি, সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর ছিল অস্ট্রেলীয় বুমেরাং। এর বৈশিষ্ট্য ছিল তিনটি। এক, এতে বিমানের প্রপেলারের মতো প্যাঁচ ছিল। দুই, এটি চলার সময় নানারকম পাক খেয়ে এঁকেবেঁকে চলতে পারত। তিন, কোনো কারণে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বুমেরাং ফের নিক্ষেপকারীর কাছেই ফিরে আসতে পারত। এটাই ছিল বুমেরাংয়ের সবচেয়ে বড় গুণ।
এ অভিনব অস্ত্রটির নিখুঁত যান্ত্রিক কৌশল বহুকাল ধরে বিজ্ঞানীদের অবাক করে আসছে। অষ্টাদশ শতকের শুরুতে মানুষ যখন বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই বুমেরাংয়ের প্রতি মানুষের কৌতূহল বহুগুণে বেড়ে যায়। এক শৌখিন বিজ্ঞানী ছুটে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ঘুরে বেড়ালেন আদিম এলাকাগুলোতে। আদিবাসীদের সঙ্গে কাটালেন বেশ কিছুদিন। তাতেই বেরিয়ে এলো বুমেরাংয়ের ভেতরগত তথ্য ও এর অদ্ভুত যন্ত্রকৌশলের রহস্যটি।
বুমেরাং কোনো ভেল্কিবাজি নয় । পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক সূত্রের মাধ্যমে সে চলাফেরা করে।
বুমেরাং কাঠ বা পাতলা লোহা দিয়ে তৈরি । এর চলার গতি আঁকাবাঁকা, ঘূর্ণিবায়ুর মতো পাক খাওয়া ছুটন্ত সাপের মতো ঢেউ তোলা। বুমেরাংয়ের চলার ধরনটা সহজেই শিকারকে হতচকিত করে দেয়। কোনদিকে পালাতে হবে তা ভেবে পায় না শিকার। বুমেরাংয়ের সেই বিচিত্র গতি তিনটি কারণের মিলিত ফল। কারণগুলো হলো_ এক, প্রথমেই নিক্ষিপ্ত বল। দুই, বুমেরাংয়ের নিজস্ব ঘূর্ণি। তিন, বায়ুর বাধা। এ তিনের সমন্বয়ে বুমেরাং এঁকেবেঁকে পাক খেয়ে চলে। আর বুমেরাংয়ের অবাক করা আসল রহস্যটা হলো_ লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ফিরে আসে নিক্ষেপকারীর কাছে।
এ অভিনব অস্ত্রটির নিখুঁত যান্ত্রিক কৌশল বহুকাল ধরে বিজ্ঞানীদের অবাক করে আসছে। অষ্টাদশ শতকের শুরুতে মানুষ যখন বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই বুমেরাংয়ের প্রতি মানুষের কৌতূহল বহুগুণে বেড়ে যায়। এক শৌখিন বিজ্ঞানী ছুটে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ঘুরে বেড়ালেন আদিম এলাকাগুলোতে। আদিবাসীদের সঙ্গে কাটালেন বেশ কিছুদিন। তাতেই বেরিয়ে এলো বুমেরাংয়ের ভেতরগত তথ্য ও এর অদ্ভুত যন্ত্রকৌশলের রহস্যটি।
বুমেরাং কোনো ভেল্কিবাজি নয় । পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক সূত্রের মাধ্যমে সে চলাফেরা করে।
বুমেরাং কাঠ বা পাতলা লোহা দিয়ে তৈরি । এর চলার গতি আঁকাবাঁকা, ঘূর্ণিবায়ুর মতো পাক খাওয়া ছুটন্ত সাপের মতো ঢেউ তোলা। বুমেরাংয়ের চলার ধরনটা সহজেই শিকারকে হতচকিত করে দেয়। কোনদিকে পালাতে হবে তা ভেবে পায় না শিকার। বুমেরাংয়ের সেই বিচিত্র গতি তিনটি কারণের মিলিত ফল। কারণগুলো হলো_ এক, প্রথমেই নিক্ষিপ্ত বল। দুই, বুমেরাংয়ের নিজস্ব ঘূর্ণি। তিন, বায়ুর বাধা। এ তিনের সমন্বয়ে বুমেরাং এঁকেবেঁকে পাক খেয়ে চলে। আর বুমেরাংয়ের অবাক করা আসল রহস্যটা হলো_ লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ফিরে আসে নিক্ষেপকারীর কাছে।