Nov 12, 2010

আবেগ শনাক্ত করবে সফটওয়্যার

সম্প্রতি স্পেনের গবেষকরা কথার মধ্যে লুুকানো আবেগ সঠিকভাবে শনাক্ত করার জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছেন। কথার আড়ালে লুকিয়ে থাকা আবেগ শনাক্ত করতে অটোমোটেড ভয়েস অ্যানালাইসিস এর ভিত্তিতে এই সফটওয়্যার তৈরি করছেন গবেষকরা। খবর গিজম্যাগের।


গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোনো কথার মধ্যে শব্দের বিশে­ষণ করে এই সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার আগে থেকেই বিভিন্ন অ্যাপি­কেশন বিল্ট করে রাখা আছে। ফুজি লজিক ব্যবহার করে বক্তার কথার আনন্দ, দুঃখ বা যে কোনো আবেগ ধরে ফেলতে পারবে এই সফটওয়্যারটি। যদি কোনো আবেগ শনাক্ত করতে না পারে তবে তা কোন ধরনের আবেগের কাছাকাছি ছিলো তার শতকরা হারও দেখাবে এই সফটওয়্যার।

জানা গেছে, ইউ মাদ্রিদ নামের এই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে আরফুজি নামের একটি প্রোগামটুল ব্যবহার করা হয়েছে যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমতুল্য। এই প্রোগ্রাম টুলটি ওয়ার্ল্ড রোবট সকার লিগ-এর রোবটগুলোতেও ব্যবহার করা হয়েছিলো।

গবেষকরা জানিয়েছেন, আর ফুজি হলো ফ্লেক্সিবল লজিক্যাল মেকানিজম যা কম্পিউটারে নিজেই ডেটা বিশে­ষণ করে। এতে কথার পিচ, রেট-এর মতো বেশ কিছু প্যারামিটার যোগ করা থাকে।

ফেসবুকিং শারীরিক ঝুঁকি বাড়




alt
অভিভাবকরা সাবধান৷ তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যারা মাত্রাতিরিক্তি খুদেবার্তা পাঠান কিংবা দিনের অনেক সময় ব্যয় করেন ফেসবুক টুইটারের পেছনে, তারা শারীরিকভাবে দুর্বল৷ বিশেষ করে এদের মাঝে ধূমপান, মদ্যপান এবং যৌনকর্মের প্রবণতা বেশি৷

দ্য কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ স্কুল অব মেডিসিন-এর সাম্প্রতিক এক জরিপে পাওয়া গেছে এসব তথ্য৷ গবেষণাটিতে প্রতিদিন ১২০টি'র বেশি খুদেবার্তা পাঠানোকে গণ্য করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তটেক্সটিং হিসেবে৷ একইসঙ্গে দিনে তিন ঘন্টার বেশি ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কে কাটানোকেও ধরা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তনেটওয়ার্কিং হিসেবে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব তরুণ-তরুণী মাত্রাতিরিক্ত খুদেবার্তা ব্যবহার করে তারা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মদ্যপান করে৷ আর সাড়ে তিনগুণ বেশি যৌনাসক্ত হয়৷ শুধু তাই নয় ধূমপানের বিবেচনায়ও স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি আসক্ত তারা৷ অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্তনেটওয়ার্কিং যারা করে তাদের মধ্যে ক্ষতির মাত্রা কম৷ তারপরও এদের মধ্যে যৌনতার আগ্রহ স্বাভাবিকের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি৷ এদের একেকজনের গড়ে যৌনসঙ্গী রয়েছে চারজনের বেশি৷

এই গবেষণার মূল গবেষক স্কট ফ্রাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছেন, আমরা সরাসরি বলতে পারিনা যে, তরুণদের অস্বাভাবিক শারীরিক আচরণের পেছনে মাত্রাতিরিক্ত টেক্সটিংই দায়ী৷ তবে দু'টোর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়৷ এই গবেষণার কাজে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়েস্টার্ন অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের মাঝে সমীক্ষা চালানো হয়৷

এদিকে, মার্কিন মুল্লুকের শিক্ষাবিদদের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত ই-মেল আর খুদেবার্তার ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা ভাষা শেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে৷ বিশেষ করে ব্যাকরণে দুর্বল হয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্ম৷

অবশ্য অনেকে এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন৷ বরং তাদের দাবি, ইন্টারনেট আসার আগেও ব্যাকরণে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা ছিল৷ তাই, সব দায় ইন্টারনেটের উপর বর্তায় না৷