Nov 2, 2010

Redhat Linux Administration : Display Card কনফিগারেশন

পিসিতে লগিন করার জন্য ২ ধরনের ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়।
১. GUI (Graphical User Interface)
২. CUI (Character User Interface)

পিসি বুট হওয়ার পরে সয়ংক্রিয়ভাবে কোন ইন্টারফেস লোড হবে তা নির্ভর করে /etc/inittab ফাইলে runlevel কি সেট করা আছে তার উপর। /etc/inittab ফাইলটি ওপেন করলে একটা লাইন খুঁজে পাবেন যেখানে লেখা আছে id:5:initdefault এই ধরনের কিছু। এই লাইনে 5 দিয়ে বুঝানো হচ্ছে বাই-ডিফল্ট ফুল মাল্টি ইউজার মোডে GUI লোড হবে। 5 এর পরিবর্তে 3 থাকলে ফুল মাল্টি ইউজার মোডে CUI লোড হবে। CUI থেকে GUI এ যেতে চাইলে startx লিখে এন্টার দিতে হবে।

Redhat লিনাক্সে ২ ধরনের ডেস্কটপ এরভাইরনমেন্ট আছে।
১. GNOME
২. KDE
বাই-ডিফল্ট GNOME ডেস্কটপ লোড হয়। switchdesk কমান্ডের মাধ্যমে ডেস্কটপ এনভাইরনমেন্ট সুইচ করা সম্ভব। যেমন:- GNOME থেকে KDE তে সুইচ করার জন্য কমান্ড হবে
switchdesk kde
switchdesk কমান্ডটির জন্য switchdesk-gui প্যাকেজটি ইনস্টল করতে হবে কারন বাই-ডিফল্ট এটি ইনস্টল করা থাকে না। switchdesk-gui-4.0.6-3.noarch.rpm প্যাকেজটি পাবেন Redhat Enterprise Linux Release 4 এর ৪ নং সিডিতে।

ডিফল্ট ডেস্কটপ এনভাইরনমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য থাকে /etc/sysconfig/desktop ফাইলে। এবং ডিসপ্লে সংক্রান্ত তথ্য থাকে /etc/X11/xorg.conf ফাইলে। Redhat8 অথবা RHEL3 এর ক্ষেত্রে xorg.conf এর পরিবর্তে XF86Config হবে। ডিসপ্লে সেটিংস পরিবর্তনের জন্য কমান্ড হবে system-config-display (RHEL4 এর জন্য) অথবা redhat-config-xfree86 (আগের ভার্শনের জন্য)। system-config-display রান করলে ডিসপ্লে সেটিংস রান হবে। এখানে resolution, color depth, monitor, video card ইত্যাদি সেটিংস পরিবর্তন করা যায়। এই সেটিংসগুলো /etc/X11/xorg.conf ফাইলে সেভ হয়। ডিসপ্লে সেটিংস পরিবর্তনের পর xfs সার্ভিস রিস্টার্ট করুন নিচের কমান্ডটি দিয়ে।
service xfs restart

xorg.conf ফাইলটি করাপ্ট হয়ে গেলে (পুরনো ভার্শনের ক্ষেত্রে XF86Config) নিচের কমান্ডটি দিন।
X -configure
কমান্ডটি /root ডিরেক্টরিতে xorg.conf.new নামে (পুরনো ভার্শনের ক্ষেত্রে XF86Config.new) ফাইল তৈরী করবে। এই ফাইলটিকে /etc/X11 ডিরেক্টরিতে xorg.conf নামে (পুরনো ভার্শনের ক্ষেত্রে XF86Config) কপি করতে হবে।

অনেক সময় GUI লোড হতে পারেনা। বিভিন্ন কারনে এটা হতে পারে। যেমন: GUI লোড হওয়ার সময় /tmp এবং ইউজারের হোম ডিরেক্টরিতে কিছু ফাইল তৈরী হয়। কোটা লিমিট এক্সিড করলে অথবা পার্টিশন ফুল হয়ে গেলে এই সমস্যা হতে পারে। আবার দেখা যায়, সবার GUI লোড হচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ইউজারের হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ইউজারের কোটা লিমিট এক্সিড হতে পারে অথবা আরেকটা কারনে হতে পারে ইউজারের হোম ফোল্ডারে .Xclients এবং .Xclients-default নামে দুটো ফাইল থাকে এর যেকোন একটা ফাইল মিসিং হলেও সমস্যা হতে পারে।

মাই নেটওয়ার্ক প্লেসে কম্পিউটার দেখা না গেলে

আপনার পিসি একটা Workgroup এর অধীনে কাজ করে। পিসিতে নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ঠিক আছে, ইমেইল কাজ করছে, ইন্টারনেট ও কাজ করছে। কিন্তু সমস্যা হল মাই নেটওয়ার্ক প্লেসে গেলে কম্পিউটার দেখা যাচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে ২টা সমাধান আছে। প্রথমে ১নং টা করুন না হলে ২নং টা করবেন।

১নং সমাধান:
My Computer এ রাইট মাউস ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন। Windows XP হলে Computer Name ট্যাব এবং Windows 2000 হলে Network Identification ট্যাবে ক্লিক করুন। Network ID বাটনে ক্লিক করুন। Network Identification Wizard রান হবে। Next ক্লিক করুন। This computer is a part of a business network………. সিলেক্ট করে Next দিন। My company uses a network without a domain সিলেক্ট করে Next দিন। Workgroup Name আগে যা ছিল তা লিখে Next দিন।
Finis দিন। পিসিকে একবার রিবুট করে নিন। এর পরেও না হলে ২নং সমাধানটি দেখুন।

২নং সমাধান:
My Network Place এ রাইট মাউস ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন। Network Connections ফোল্ডার ওপেন হবে। Local Area Connection এ রাইট মাউস ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন। Local Area Connection Properties ওপেন হবে। আপনার পিসি যদি DHCP সার্ভারের অধীনে চলে তাহলে কিছু জানার দরকার নেই কিন্তু স্ট্যাটিক আইপি ব্যবহার করলে আইপি সংক্রান্ত তথ্যগুলি লিখে রাখুন(যেমন: IP Address, Subnet Mask, Gateway, DNS ইত্যাদি)। এক এক করে Client for Microsoft Networks, File and Printer Sharing for Microsoft Networks, Internet Protocol (TCP/IP) ইত্যাদি সহ সবকিছু Uninstall বাটনে ক্লিক করে আনইনস্টল করুন। পিসি রিবুটের মেসেজ আসলে রিবুট করুন। এরপর আবার উপরের নিয়মানুযায়ী Local Area Connection Properties ওপেন করুন। Install বাটনে ক্লিক করে একে একে Client থেকে Client for Microsoft Networks, Service থেকে File and Printer Sharing for Microsoft Networks এবং Protocol থেকে Internet Protocol (TCP/IP) ইনস্টল করুন। স্ট্যাটিক আইপির ক্ষেত্রে লিখে রাখা তথ্যগুলি আবার সেট করে করুন। পিসি রিবুট করুন।

Meebo ওয়েব বেজড মেসেজিং সার্ভিস

যারা নিয়মিত চ্যাট করেন তাদের জন্য দারুন একটি ওয়েবসাইট এটি। এই সাইটের বৈশিষ্ট হল একটা লগিন দিয়েই আপনি AIM, Yahoo!, MSN, Google Talk, ICQ, Jabber এ একসাথে চ্যাট করতে পারবেন। এছাড়াও এটি যেহেতু ব্রাউজার ভিত্তিক তাই লিনাক্স/উইন্ডোজ সব প্লাটফর্মেই ব্যবহার করতে পারবেন। কোন ইনস্টলেশনের ঝামেলা নেই। রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ন ফ্রি। একবার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন।

যে কোন অক্ষর বা শব্দকে ছবিতে রুপান্তর করুন



বন্ধুরা, ছবি সাজিয়ে কখনো নিজের নাম লিখেছেন?? অথবা কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন??? ভাবছেন এত ঝামেলা করে কে করবে। নাহ, কোন ঝামেলার দরকার নেই। আজকে আপনাদেরকে এমন একটা ওয়েব সাইটের ঠিকানা দেব যেখানে গিয়ে আপনি যা লিখবেন তাই ছবিতে কনভার্ট হয়ে যাবে। আর বেশী কিছু ভুমিকা করবনা। তাহলে চলে যান http://www.imagespeller.com/ এ।

টিপস

১. উইন্ডোজের কোন ফাইল বা ফোলডার ভুলে ডিলিট করে ফেলেছেন সাথে সাথে Ctrl+z চাপ দিন চলে অসবে।
২. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অথবা মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের ওয়েব এড্রেস পুরোটা লিখতে হয়না। যেমনঃ- এড্রেস বারে
yahoo লিখে Ctrl+Enter দিন সয়ংক্রিয়ভাবে প্রথমে www. এবং শেষে .com বসে যাবে।
৩. কোন একটা প্রোগ্রাম ক্রেক বা সিরিয়াল সহ ডাউনলোড করতে চাইলে গুগল এ গিয়ে লিখুন “প্রোগ্রামটার নাম
warez“। যেমনঃ- winzip warez লিখে সার্চ দিন। এই কাজের জন্য আমি কোন দায়িত্ব নেবনা। নিজ দায়িত্বে করবেন।
৪. উইন্ডোজ ২০০০ এ এডমিনিস্ট্রেটর পাসওয়ার্ড জানা থাকলে নেটওয়ার্কের যেকোন কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক একসেস করতে পারবেন। যেমনঃ- এড্রেস বারে লিখুন
\\computername\c$
এখানে c$ এর জায়গায় যে ড্রাইভের একসেস দরকার সেই ড্রাইভ লেটারটা দিবেন।
৫. উইন্ডোজ এক্সপিতে একসাথে একাধিক ফাইল রিনেম করা যায়।
Ctrl+a দিয়ে সবগুলো ফাইল সিলেক্ট করুন। যেকোন একটা ফাইলের উপর রাইট মাউস ক্লিক করে রিনেম করুন অন্য ফাইলগুলোও সিরিয়ালী রিনেম হয়ে যাবে।
৬. অনেক প্রোগ্রাম এডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সেটাপ হয়না। সেক্ষেত্রে লগঅফ করে এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে লগইন করার দরকার নেই। প্রোগ্রামটার উপর
Shift বাটন চেপে ধরে রাইট মাউস বাটন ক্লিক করুন Run as একটা অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন এবার এডমিনিস্ট্রেটর নেম ও পাসওয়ার্ড দিলেই প্রোগ্রামাটা রান হয়ে যাবে।
৭. নেটওয়ার্ক প্রিন্টার ইনস্টল করার সহজ পদ্ধতি হচ্ছে উইন্ডোজের এড্রেসবারে ডাবল শ্লেস দিয়ে যে কম্পিউটারটাতে প্রিন্টার লাগানো আছে তার নাম লিখে এন্টার দিন (যেমনঃ-
\\computername)। শেয়ার করা প্রিন্টারটা দেখাবে। ওটার উপর রাইট মাউস ক্লিক করে connect এ ক্লিক করুন। উইন্ডোজ ৯৮ এ connect এর পরিবর্তে Install লেখা থাকবে।
৮. উইন্ডোজে একসাথে একাধিক ধরনের ফাইল সার্চ করা যায়। যেমনঃ-
*.mpg, *.avi, *.mp3 লিখে সার্চ দিন।